ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজারবাইজানের বাকুতে বিরল বৈঠকে মুখোমুখি সিরিয়া ও ইসরায়েল নাটোরে বিকাশ লেনদেনকে কেন্দ্র করে গুলি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ টানা চার মাস স্থবির টেকনাফ স্থলবন্দর, লোকসানে শতাধিক ব্যবসায়ী ও শ্রমিক বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ইউরোপ-এশিয়া-আমেরিকা, পাকিস্তানে মৃত বেড়ে ১০৪ ঝিনাইদহে আ. লীগ নেতাকে ডিবি পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগে আটক ৪ এনবিআরের নাম পরিবর্তন হচ্ছে, থাকবে দুটি নতুন বিভাগ: জ্বালানি উপদেষ্টা প্রখ্যাত তেলেগু অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই, চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া আবু সাঈদ হত্যা ও ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির উইম্বলডনের রানি শিয়াওতেক, ইতিহাস গড়লেন দাপুটে জয় দিয়ে সোহাগ হত্যাকাণ্ড বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

মিটফোর্ডের হত্যায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, “গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আমরা জানতে পেরেছি, ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের যাদের নাম এসেছে, তাদের রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক পরিবার। এর কোনো ছিদ্রপথে এক-দুইজন দুষ্কৃতিকারী প্রবেশ করতে পারে, যা সবসময় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। তবে কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে, তাকেই বহিষ্কার করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেও এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।”

রিজভী আরও বলেন, “পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পরপরই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকালের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি ছিল ব্যক্তি ব্যবসায়িক বিরোধ। ভাঙাড়ি ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে দলের আদর্শ, পদ বা নাম কোনোভাবে জড়িত নয়।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যারা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চায়, তারা মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। নিহত ব্যক্তি ও ঘাতকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলছিল। এখানে মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতারা জড়িত নন। যদি ওয়ার্ড পর্যায়ের কেউ থাকে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করেছে, তাদের কোনো ছাড় নেই। প্রয়োজনে মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”

রিজভী সমালোচনা করে বলেন, “ঘটনার পর একাধিক রাজনৈতিক দল মিছিল করে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অথচ বিএনপি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে। যদি আমরা শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, তখন প্রশ্ন উঠতো। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তারপরও কেন মিছিল?”

তিনি বলেন, “আপনারা অতীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন, তা মানুষ এখনো ভোলেনি। তাই বিএনপির ইতিবাচক দিক উপেক্ষা করে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইলে, সেটি সফল হবে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

মিটফোর্ডের হত্যায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

আপডেট সময় ০৪:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, “গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আমরা জানতে পেরেছি, ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের যাদের নাম এসেছে, তাদের রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক পরিবার। এর কোনো ছিদ্রপথে এক-দুইজন দুষ্কৃতিকারী প্রবেশ করতে পারে, যা সবসময় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। তবে কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে, তাকেই বহিষ্কার করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেও এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।”

রিজভী আরও বলেন, “পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পরপরই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকালের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি ছিল ব্যক্তি ব্যবসায়িক বিরোধ। ভাঙাড়ি ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে দলের আদর্শ, পদ বা নাম কোনোভাবে জড়িত নয়।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যারা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চায়, তারা মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। নিহত ব্যক্তি ও ঘাতকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলছিল। এখানে মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতারা জড়িত নন। যদি ওয়ার্ড পর্যায়ের কেউ থাকে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করেছে, তাদের কোনো ছাড় নেই। প্রয়োজনে মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”

রিজভী সমালোচনা করে বলেন, “ঘটনার পর একাধিক রাজনৈতিক দল মিছিল করে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অথচ বিএনপি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে। যদি আমরা শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, তখন প্রশ্ন উঠতো। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তারপরও কেন মিছিল?”

তিনি বলেন, “আপনারা অতীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন, তা মানুষ এখনো ভোলেনি। তাই বিএনপির ইতিবাচক দিক উপেক্ষা করে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইলে, সেটি সফল হবে না।”