০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি ইয়েমেনে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হুথি বাহিনীর অভিযান, আটক ২০ কর্মী হংকং বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: সাগরে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২ কর্মী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।