ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।