বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার মজুত বাড়ছে, শীর্ষ ক্রেতা পোল্যান্ড

- আপডেট সময় ০২:১৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / 7
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের সোনার মজুত ক্রমেই বাড়াচ্ছে। মে মাসে তারা নতুন করে ২০ টন সোনা কিনেছে, যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মে মাসে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক ৭ টন সোনা কিনেছে, ফলে তাদের মোট মজুত দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টনে। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটির সোনার মজুত ১৫ টন বেড়েছে। যদিও গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, বৈশ্বিকভাবে সোনা মজুতের গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে।
তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও মে মাসে ৬ টন সোনা কিনেছে, ফলে চলতি বছর তাদের মোট সোনা ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ টন। অন্যদিকে পোল্যান্ড চলতি বছরের সবচেয়ে বড় নিট ক্রেতা হিসেবে উঠে এসেছে। এ বছর তারা ৬৭ টন সোনা কিনেছে, যার মধ্যে মে মাসেই ৬ টন ছিল।
এছাড়া চীনের পিপলস ব্যাংক ও চেক প্রজাতন্ত্রের ন্যাশনাল ব্যাংক উভয়েই মে মাসে ২ টন করে সোনা কিনেছে। তবে বিপরীতে সোনার বিক্রেতাদের মধ্যে শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুরের মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষ, যারা মে মাসে ৫ টন সোনা বিক্রি করেছে। এছাড়া উজবেকিস্তান ও জার্মানির ডয়চে বুন্ডেসব্যাক ১ টন করে সোনা বিক্রি করেছে।
চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিট সোনা বিক্রেতা দেশ হিসেবে আছে উজবেকিস্তান, যা এ পর্যন্ত ২৭ টন সোনা বিক্রি করেছে। সিঙ্গাপুর এ সময়ে মোট ১০ টন সোনা বিক্রি করেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’-এর তথ্য অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সোনার মজুত আরও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী ১২ মাসে বৈশ্বিক পর্যায়ে সরকারি সোনার মজুত বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক সংকট, মূল্যস্ফীতি ও ঝুঁকি মোকাবিলায় বিকল্প সম্পদ হিসেবে সোনার কার্যকারিতা এ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
‘অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ফোরামের গ্লোবাল পাবলিক ইনভেস্টর ২০২৫’ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ৩২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সোনার মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।