০৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

 

হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাপক ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় এখনও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত কাংড়া, মান্ডি, হামিরপুর, সিমলা, সিরমৌর এবং সোলান জেলায় মাঝারি মাত্রার আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবারের টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে হিমাচলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। নদীর স্রোত এবং ভূমিধসে ১৪টি সেতু, ১৪৮টি বাড়ি এবং দুটি দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। এই দুর্যোগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মান্ডি জেলার বাসিন্দা। ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিমাচলের স্টেট ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচটি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১৫৭ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি মান্ডি জেলার ধরমপুরের লাউঙ্গানি পঞ্চায়েতের সায়াথি গ্রামে গিয়ে দুর্গতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কষ্টের কথা শোনেন। এছাড়া ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১ লাখ ৭০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেশন, ত্রিপলসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে, পরবর্তী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা উদ্ধারকাজে নতুন করে বাধা তৈরি করতে পারে। ফলে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

আপডেট সময় ১১:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাপক ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় এখনও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত কাংড়া, মান্ডি, হামিরপুর, সিমলা, সিরমৌর এবং সোলান জেলায় মাঝারি মাত্রার আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবারের টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে হিমাচলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। নদীর স্রোত এবং ভূমিধসে ১৪টি সেতু, ১৪৮টি বাড়ি এবং দুটি দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। এই দুর্যোগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মান্ডি জেলার বাসিন্দা। ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিমাচলের স্টেট ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচটি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১৫৭ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি মান্ডি জেলার ধরমপুরের লাউঙ্গানি পঞ্চায়েতের সায়াথি গ্রামে গিয়ে দুর্গতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কষ্টের কথা শোনেন। এছাড়া ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১ লাখ ৭০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেশন, ত্রিপলসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে, পরবর্তী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা উদ্ধারকাজে নতুন করে বাধা তৈরি করতে পারে। ফলে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি