০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 97

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ইতিমধ্যেই বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রবিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার গাজা শহর এবং উত্তরাঞ্চলে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন, যারা বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়া ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক মোয়াথ আল-কাহলৌত জানান, উত্তরাঞ্চলের জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওয়িয়া মার্কেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহত শতাধিক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের পরিস্থিতি “বিপর্যয়কর” বলে উল্লেখ করেন। সীমিত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি রোগী আসায় অনেক আহতকে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত মে মাসের শেষের দিকে গাজার ওপর কঠোর অবরোধের মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গঠিত সংস্থা জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু তারপর থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা থামেনি। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫৮০ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) একাধিক সৈন্যের বরাতে জানা গেছে, নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ উচ্চপর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, একদিকে অবরোধের কারণে খাবার ও ওষুধের সংকট, অন্যদিকে লাগাতার হামলা — সবমিলিয়ে তারা চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা

আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ইতিমধ্যেই বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রবিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার গাজা শহর এবং উত্তরাঞ্চলে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন, যারা বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়া ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক মোয়াথ আল-কাহলৌত জানান, উত্তরাঞ্চলের জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওয়িয়া মার্কেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহত শতাধিক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের পরিস্থিতি “বিপর্যয়কর” বলে উল্লেখ করেন। সীমিত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি রোগী আসায় অনেক আহতকে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত মে মাসের শেষের দিকে গাজার ওপর কঠোর অবরোধের মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গঠিত সংস্থা জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু তারপর থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা থামেনি। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫৮০ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) একাধিক সৈন্যের বরাতে জানা গেছে, নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ উচ্চপর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, একদিকে অবরোধের কারণে খাবার ও ওষুধের সংকট, অন্যদিকে লাগাতার হামলা — সবমিলিয়ে তারা চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।