০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার কিনছে সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

সরকার কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুমোদিত সারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার টন এমওপি, ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৩৪২ মার্কিন ডলার।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্রুপ চিমিক তিউনিসিয়েন (জিসিটি) ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই আমদানির জন্য ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৫০ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১৩তম (ঐচ্ছিক-৪র্থ) লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১০ মার্কিন ডলার।

সবগুলো চুক্তিই কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “হরমুজ প্রণালীর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গম বা জ্বালানি আমদানিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও সারের আমদানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে সরকার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

এই সারগুলো দেশের কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার কিনছে সরকার

আপডেট সময় ০৬:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

সরকার কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুমোদিত সারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার টন এমওপি, ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৩৪২ মার্কিন ডলার।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্রুপ চিমিক তিউনিসিয়েন (জিসিটি) ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই আমদানির জন্য ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৫০ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১৩তম (ঐচ্ছিক-৪র্থ) লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১০ মার্কিন ডলার।

সবগুলো চুক্তিই কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “হরমুজ প্রণালীর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গম বা জ্বালানি আমদানিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও সারের আমদানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে সরকার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

এই সারগুলো দেশের কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।