০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সাফল্য, হ্যান্ডলিংয়ে বাড়ছে অগ্রগতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত বন্দরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩১ লাখ ১১ হাজার ৭৯৯ টিইইউস (ট wenty-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট), যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

বুধবার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বন্দর কার্যক্রমে ইতিবাচক অগ্রগতি বজায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, দুই ঈদের ছুটি, কাস্টমসের কলম বিরতি ও পরিবহন ধর্মঘটের মতো একাধিক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রায় দুই মাস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবুও এসব চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ আগের বছরের তুলনায় অধিক সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এ সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে বন্দরের অটোমেশন সার্ভিস, ই-গেট পাস চালু এবং কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেমের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়াকে করেছে আরও গতিশীল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরে মোট ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। অথচ চলতি অর্থবছরের এখনও ১৫ দিন বাকি থাকতে সেই পরিমাণ প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বন্দর। ফলে ৩০ জুনের মধ্যেই কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল। ধারাবাহিক এই উন্নতি প্রমাণ করে, দেশের বাণিজ্য প্রবাহে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ক্রমেই বাড়ছে।

এমন সফলতা বন্দর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সুফলকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে। বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সাফল্য, হ্যান্ডলিংয়ে বাড়ছে অগ্রগতি

আপডেট সময় ০৫:১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত বন্দরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩১ লাখ ১১ হাজার ৭৯৯ টিইইউস (ট wenty-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট), যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

বুধবার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বন্দর কার্যক্রমে ইতিবাচক অগ্রগতি বজায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, দুই ঈদের ছুটি, কাস্টমসের কলম বিরতি ও পরিবহন ধর্মঘটের মতো একাধিক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রায় দুই মাস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবুও এসব চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ আগের বছরের তুলনায় অধিক সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এ সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে বন্দরের অটোমেশন সার্ভিস, ই-গেট পাস চালু এবং কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেমের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়াকে করেছে আরও গতিশীল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরে মোট ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। অথচ চলতি অর্থবছরের এখনও ১৫ দিন বাকি থাকতে সেই পরিমাণ প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বন্দর। ফলে ৩০ জুনের মধ্যেই কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল। ধারাবাহিক এই উন্নতি প্রমাণ করে, দেশের বাণিজ্য প্রবাহে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ক্রমেই বাড়ছে।

এমন সফলতা বন্দর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সুফলকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে। বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।