০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যৌথ হামলার চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র মতে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ‘ফোরদো’সহ বেশ কিছু স্থাপনাকে এই সম্ভাব্য হামলার মূল লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে এ নিয়ে পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেও সিবিএস-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের ওপর সম্ভাব্য এ ধরনের হামলার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ‘অবৈধ হামলা’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই কর্মসূচিকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলেও, ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ এই উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যৌথ হামলার চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র মতে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ‘ফোরদো’সহ বেশ কিছু স্থাপনাকে এই সম্ভাব্য হামলার মূল লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে এ নিয়ে পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেও সিবিএস-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের ওপর সম্ভাব্য এ ধরনের হামলার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ‘অবৈধ হামলা’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই কর্মসূচিকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলেও, ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ এই উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে।