১১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যৌথ হামলার চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র মতে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ‘ফোরদো’সহ বেশ কিছু স্থাপনাকে এই সম্ভাব্য হামলার মূল লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে এ নিয়ে পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেও সিবিএস-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ইরানের ওপর সম্ভাব্য এ ধরনের হামলার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ‘অবৈধ হামলা’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই কর্মসূচিকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলেও, ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ এই উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যৌথ হামলার চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র মতে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ‘ফোরদো’সহ বেশ কিছু স্থাপনাকে এই সম্ভাব্য হামলার মূল লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে এ নিয়ে পূর্ণ ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেও সিবিএস-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ইরানের ওপর সম্ভাব্য এ ধরনের হামলার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ‘অবৈধ হামলা’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এই কর্মসূচিকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলেও, ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ এই উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানাচ্ছে।