ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে ভ্রমণ সুবিধায় সমঝোতা স্মারক সাক্ষর ঝিনাইগাতীতে বাস পুকুরে উল্টে তিন মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত অন্তত ২০ চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে

ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তায় পূর্ণ সমর্থন দেবে চীন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

 

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি পৃথকভাবে ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনায় তিনি ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র সমালোচনা করেন এবং একে আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, চীন ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং ইসরায়েলের এই আগ্রাসী আচরণ কঠোরভাবে নিন্দাযোগ্য।

তিনি বলেন, “এই হামলা ছিল নির্মম এবং ইরানি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” ওয়াং ই আরও সতর্ক করে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এ ধরনের হামলা গোটা অঞ্চলের জন্য একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, যার ফলাফল হতে পারে মারাত্মক।”

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, তার দেশ সব সময় ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশে থাকবে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার-এর সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, “ইরানের ওপর বলপ্রয়োগ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কূটনৈতিকভাবে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর সমাধানের চেষ্টা করছে, তখন এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বলপ্রয়োগ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ দেখাতে পারে না। বরং তা উত্তেজনা বাড়িয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে।”

চীন দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। ওয়াং ই বলেন, “ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে কূটনৈতিক আলোচনার পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো রকম সামরিক আগ্রাসন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।”

ওয়াং ই’র এসব মন্তব্য আন্তর্জাতিক পরিসরে চীনের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যেখানে তারা বলপ্রয়োগ নয়, বরং কূটনৈতিক পথকেই শান্তি ও সমাধানের উপায় হিসেবে তুলে ধরছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তায় পূর্ণ সমর্থন দেবে চীন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:২৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

 

 

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি পৃথকভাবে ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনায় তিনি ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র সমালোচনা করেন এবং একে আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, চীন ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং ইসরায়েলের এই আগ্রাসী আচরণ কঠোরভাবে নিন্দাযোগ্য।

তিনি বলেন, “এই হামলা ছিল নির্মম এবং ইরানি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” ওয়াং ই আরও সতর্ক করে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এ ধরনের হামলা গোটা অঞ্চলের জন্য একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, যার ফলাফল হতে পারে মারাত্মক।”

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, তার দেশ সব সময় ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশে থাকবে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার-এর সঙ্গে ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, “ইরানের ওপর বলপ্রয়োগ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কূটনৈতিকভাবে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর সমাধানের চেষ্টা করছে, তখন এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বলপ্রয়োগ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ দেখাতে পারে না। বরং তা উত্তেজনা বাড়িয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে।”

চীন দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। ওয়াং ই বলেন, “ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে কূটনৈতিক আলোচনার পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো রকম সামরিক আগ্রাসন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।”

ওয়াং ই’র এসব মন্তব্য আন্তর্জাতিক পরিসরে চীনের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যেখানে তারা বলপ্রয়োগ নয়, বরং কূটনৈতিক পথকেই শান্তি ও সমাধানের উপায় হিসেবে তুলে ধরছে।