০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

শাহতলীতে চাষ হচ্ছে টককে মিষ্টি বানানো ফল আফ্রিকার ‘মিরাকেল বেরি’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

চেরির মতো লালচে রঙ, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট তবে গুণে একেবারে জাদুকরি। আফ্রিকার বিস্ময়কর ফল ‘মিরাকেল বেরি’ এখন চাষ হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে। স্থানীয় ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামে একটি বাগানে এ ফলের সাফল্য পেয়েছেন শৌখিন ফল চাষি হেলাল উদ্দিন।

ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে ফেলে রাখা দুটি পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন তিনি। চার বছর আগে সেখানে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে চারা রোপণ করেন। আজ সে জমিতেই গড়ে উঠেছে তিন একরের বিস্তৃত ফলের বাগান।

বিজ্ঞাপন

এই ফলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মুখের স্বাদ পাল্টাতে পারে। একটি মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক, তেতো কিংবা বিস্বাদ খাবারও মিষ্টি লাগে। হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে পাঁচটি চারা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই চাষ। এখন প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে এবং প্রতিদিন ঝরে পড়ছে লালচে পাকা ফল।

তবে এই ফলের সংরক্ষণক্ষমতা খুব কম মাটিতে ঝরার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে এই ফল সহজে মেলে না। স্বাদ নিতে হলে যেতে হবে সরাসরি বাগানেই।

মিরাকেল বেরি গরম ও মৃদু আবহাওয়ার উপযোগী। হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের যেকোন জায়গায় এ গাছ চাষ করা সম্ভব এবং গাছটি প্রায় সারা বছরই ফল দেয়। ফলটির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও।

এই জাদুকরি বৈশিষ্ট্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় বাগান দেখতে আসছেন অনেক উৎসাহী দর্শনার্থী। যাঁরা ফলটির স্বাদ নিয়েছেন, তাঁরা বলছেন একটি মাত্র মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর টক আম, লেবু, চালতা কিংবা তেতো খাবার খেলেও তা মিষ্টি লাগে। বিশেষ করে যারা টক বা তেতো জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক অসাধারণ সমাধান।

তবে বাজারে এই ফল এখনো সুলভ নয়। মিরাকেল বেরির স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে চাঁদপুরের শাহতলীর ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ বাগানে। এখানেই দেশের মাটিতে এক আফ্রিকান বিস্ময়ের বাস্তব রূপ দেখছেন অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহতলীতে চাষ হচ্ছে টককে মিষ্টি বানানো ফল আফ্রিকার ‘মিরাকেল বেরি’

আপডেট সময় ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

চেরির মতো লালচে রঙ, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট তবে গুণে একেবারে জাদুকরি। আফ্রিকার বিস্ময়কর ফল ‘মিরাকেল বেরি’ এখন চাষ হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে। স্থানীয় ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামে একটি বাগানে এ ফলের সাফল্য পেয়েছেন শৌখিন ফল চাষি হেলাল উদ্দিন।

ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে ফেলে রাখা দুটি পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন তিনি। চার বছর আগে সেখানে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে চারা রোপণ করেন। আজ সে জমিতেই গড়ে উঠেছে তিন একরের বিস্তৃত ফলের বাগান।

বিজ্ঞাপন

এই ফলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মুখের স্বাদ পাল্টাতে পারে। একটি মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক, তেতো কিংবা বিস্বাদ খাবারও মিষ্টি লাগে। হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে পাঁচটি চারা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই চাষ। এখন প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে এবং প্রতিদিন ঝরে পড়ছে লালচে পাকা ফল।

তবে এই ফলের সংরক্ষণক্ষমতা খুব কম মাটিতে ঝরার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে এই ফল সহজে মেলে না। স্বাদ নিতে হলে যেতে হবে সরাসরি বাগানেই।

মিরাকেল বেরি গরম ও মৃদু আবহাওয়ার উপযোগী। হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের যেকোন জায়গায় এ গাছ চাষ করা সম্ভব এবং গাছটি প্রায় সারা বছরই ফল দেয়। ফলটির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও।

এই জাদুকরি বৈশিষ্ট্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় বাগান দেখতে আসছেন অনেক উৎসাহী দর্শনার্থী। যাঁরা ফলটির স্বাদ নিয়েছেন, তাঁরা বলছেন একটি মাত্র মিরাকেল বেরি খাওয়ার পর টক আম, লেবু, চালতা কিংবা তেতো খাবার খেলেও তা মিষ্টি লাগে। বিশেষ করে যারা টক বা তেতো জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক অসাধারণ সমাধান।

তবে বাজারে এই ফল এখনো সুলভ নয়। মিরাকেল বেরির স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে চাঁদপুরের শাহতলীর ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ বাগানে। এখানেই দেশের মাটিতে এক আফ্রিকান বিস্ময়ের বাস্তব রূপ দেখছেন অনেকে।