১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় একদিনে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত, ‘ত্রাণকেন্দ্র’ ঘিরে মৃত্যুফাঁদের অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 58

ছবি: সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার (১১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে তারা জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পুরো গাজা এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। এই প্রেক্ষাপটে মানুষ যখন ত্রাণের আশায় ছোটে, তখনও তাদের ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে মঙ্গলবার আবারও খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি শিশু, যার নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ।

এই মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রে রয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত এ সংস্থাটি মূলত অপারেটস করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।

গাজা সরকারের অভিযোগ, এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো আসলে ‘মানব কসাইখানা’। তাদের ভাষায়, ‘জিএইচএফ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষেরা ত্রাণের আশায় গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’

গাজা সরকারের তথ্য অফিস আরও জানায়, গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।

‘জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ভয়ঙ্কর এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ত্রাণের নামে নিরস্ত্র, ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে,’ এই অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গাজা সরকার।

মানবিক বিপর্যয় দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাজায়। ত্রাণের আশায় ছুটে আসা মানুষরা এখন বেছে নিতে পারছেন না জীবন নাকি খাদ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় একদিনে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত, ‘ত্রাণকেন্দ্র’ ঘিরে মৃত্যুফাঁদের অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার (১১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে তারা জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পুরো গাজা এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। এই প্রেক্ষাপটে মানুষ যখন ত্রাণের আশায় ছোটে, তখনও তাদের ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে মঙ্গলবার আবারও খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি শিশু, যার নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ।

এই মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রে রয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত এ সংস্থাটি মূলত অপারেটস করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।

গাজা সরকারের অভিযোগ, এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো আসলে ‘মানব কসাইখানা’। তাদের ভাষায়, ‘জিএইচএফ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষেরা ত্রাণের আশায় গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’

গাজা সরকারের তথ্য অফিস আরও জানায়, গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।

‘জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ভয়ঙ্কর এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ত্রাণের নামে নিরস্ত্র, ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে,’ এই অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গাজা সরকার।

মানবিক বিপর্যয় দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাজায়। ত্রাণের আশায় ছুটে আসা মানুষরা এখন বেছে নিতে পারছেন না জীবন নাকি খাদ্য।