০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রকৃত সংস্কারের প্রথম শর্ত: আব্দুন নূর তুষার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 82

ছবি সংগৃহীত

 

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, দেশে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয় ছোট সংস্কার, মাঝারি সংস্কার কিংবা বড় সংস্কার সেগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সংস্কার নয়। তার মতে, প্রকৃত সংস্কারের সূচনা হওয়া উচিত সুষ্ঠু ও নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে।

সম্প্রতি ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “সবাই বলছে আমরা বহুদিন ধরে ভোট দিতে পারছি না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধু ভোট দিতে না পারাই কি সমস্যা? না, বিষয়টি এর চেয়েও গভীর। কোনো রাষ্ট্রই একক ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলীয় মতাদর্শ দিয়ে সংস্কার সম্পন্ন করতে পারে না। সংস্কার হওয়া উচিত জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।”

আব্দুন নূর তুষার আরও বলেন, “যদি বাংলাদেশে নিয়মিত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে জনগণ নেতাদের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজে থেকেই শিখে যেত যে গণতন্ত্র কীভাবে তাদের উপকারে আসে। কিন্তু ভোট না হওয়ায় আমরা আমাদের পছন্দের ব্যক্তিদের বেছে নেয়ার সুযোগ হারিয়েছি। অপছন্দের লোকদের মুখের ওপর বলার সুযোগও হারিয়েছি যে আপনি আমার কাছে ভোট চাইতে পারেন না, আমি আপনাকে ভোট দেব না।”

তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র কেবল একটি পদ্ধতি নয়, এটি একটি শেখার প্রক্রিয়া। জনগণ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, তাহলে তারা বুঝে উঠতে পারে কারা সত্যিকারের প্রতিনিধি, কারা তাদের কথা বলে, এবং কারা শুধু নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় আসে।

তুষার বলেন, “ভোটের মাধ্যমে জনগণ যেমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারে, তেমনি নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করতেও পারে। কিন্তু সেই অধিকারটাই আমরা হারিয়ে ফেলেছি।”

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি তারুণ্যকে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, উন্নয়নের টেকসই ভিত্তি গড়ে তুলতে হলে আগে গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে হবে। আর তার প্রথম ধাপই হলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও নিয়মিত নির্বাচন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রকৃত সংস্কারের প্রথম শর্ত: আব্দুন নূর তুষার

আপডেট সময় ০২:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, দেশে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয় ছোট সংস্কার, মাঝারি সংস্কার কিংবা বড় সংস্কার সেগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সংস্কার নয়। তার মতে, প্রকৃত সংস্কারের সূচনা হওয়া উচিত সুষ্ঠু ও নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে।

সম্প্রতি ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “সবাই বলছে আমরা বহুদিন ধরে ভোট দিতে পারছি না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধু ভোট দিতে না পারাই কি সমস্যা? না, বিষয়টি এর চেয়েও গভীর। কোনো রাষ্ট্রই একক ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলীয় মতাদর্শ দিয়ে সংস্কার সম্পন্ন করতে পারে না। সংস্কার হওয়া উচিত জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।”

আব্দুন নূর তুষার আরও বলেন, “যদি বাংলাদেশে নিয়মিত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে জনগণ নেতাদের নির্বাচনের মাধ্যমে নিজে থেকেই শিখে যেত যে গণতন্ত্র কীভাবে তাদের উপকারে আসে। কিন্তু ভোট না হওয়ায় আমরা আমাদের পছন্দের ব্যক্তিদের বেছে নেয়ার সুযোগ হারিয়েছি। অপছন্দের লোকদের মুখের ওপর বলার সুযোগও হারিয়েছি যে আপনি আমার কাছে ভোট চাইতে পারেন না, আমি আপনাকে ভোট দেব না।”

তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র কেবল একটি পদ্ধতি নয়, এটি একটি শেখার প্রক্রিয়া। জনগণ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, তাহলে তারা বুঝে উঠতে পারে কারা সত্যিকারের প্রতিনিধি, কারা তাদের কথা বলে, এবং কারা শুধু নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় আসে।

তুষার বলেন, “ভোটের মাধ্যমে জনগণ যেমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারে, তেমনি নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করতেও পারে। কিন্তু সেই অধিকারটাই আমরা হারিয়ে ফেলেছি।”

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি তারুণ্যকে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, উন্নয়নের টেকসই ভিত্তি গড়ে তুলতে হলে আগে গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে হবে। আর তার প্রথম ধাপই হলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও নিয়মিত নির্বাচন।