ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা

ধামরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনায় একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মা ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নার্গিস আক্তার (৪৫), তার বড় ছেলে মো. শামীম (১৮) এবং ছোট ছেলে মো. সোলাইমান (৭)। স্বামী রাজা মিয়া এক বছর আগে স্ট্রোক করে মারা গেলে নার্গিস দুই ছেলেকে নিয়ে একাই বসবাস করছিলেন। বড় মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

সোমবার সকাল থেকে নার্গিস আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ না করতে পেরে তার মেয়ে বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিছানার ওপর তিনজনের নিথর দেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানানো হলে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

কক্ষের ভেতর থেকে রান্না করা ভাত ও ডিম ভাজি পাওয়া যায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর নার্গিস কিছুদিন পারিবারিক ডেকোরেটর ব্যবসা চালিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সংকটে পড়ে সেটি বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে পরিবারটি অভাব-অনটনের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছিল।

তিনি বলেন, “তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেউ কারও সঙ্গে শত্রুতা করত বলেও জানা যায়নি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির সাংবাদিকদের জানান, মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনাকে ঘিরে শোক ও বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে। তিনটি প্রাণ একই পরিবারের এই মর্মান্তিক ঘটনা গোটা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধামরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

আপডেট সময় ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনায় একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মা ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নার্গিস আক্তার (৪৫), তার বড় ছেলে মো. শামীম (১৮) এবং ছোট ছেলে মো. সোলাইমান (৭)। স্বামী রাজা মিয়া এক বছর আগে স্ট্রোক করে মারা গেলে নার্গিস দুই ছেলেকে নিয়ে একাই বসবাস করছিলেন। বড় মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

সোমবার সকাল থেকে নার্গিস আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ না করতে পেরে তার মেয়ে বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিছানার ওপর তিনজনের নিথর দেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানানো হলে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

কক্ষের ভেতর থেকে রান্না করা ভাত ও ডিম ভাজি পাওয়া যায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর নার্গিস কিছুদিন পারিবারিক ডেকোরেটর ব্যবসা চালিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সংকটে পড়ে সেটি বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে পরিবারটি অভাব-অনটনের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছিল।

তিনি বলেন, “তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেউ কারও সঙ্গে শত্রুতা করত বলেও জানা যায়নি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির সাংবাদিকদের জানান, মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনাকে ঘিরে শোক ও বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে। তিনটি প্রাণ একই পরিবারের এই মর্মান্তিক ঘটনা গোটা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।