ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা আবহাওয়ার সতর্কতা: ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা

সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আজ (২ জুন)

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দায়মুক্তির আবেদন (আপিল) শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার, ২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু এবং শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। গুলি চালান বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে র‍্যাব। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। চার্জশিটে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্স (তথ্যদাতা) রয়েছেন। এছাড়া মামলার সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরাও আপিল করেন।

সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এখন রায়ের অপেক্ষা। দেশবাসীর দৃষ্টি এখন হাইকোর্টের ২ জুন ঘোষিতব্য ঐতিহাসিক রায়ের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আজ (২ জুন)

আপডেট সময় ১০:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দায়মুক্তির আবেদন (আপিল) শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার, ২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু এবং শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। গুলি চালান বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে র‍্যাব। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। চার্জশিটে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্স (তথ্যদাতা) রয়েছেন। এছাড়া মামলার সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরাও আপিল করেন।

সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এখন রায়ের অপেক্ষা। দেশবাসীর দৃষ্টি এখন হাইকোর্টের ২ জুন ঘোষিতব্য ঐতিহাসিক রায়ের দিকে।