ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ১২ সেনা নিহত, আহত ৬০’র বেশি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইউক্রেনের একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। রবিবার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এমন প্রাণঘাতী হামলা ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ ইউক্রেনের পক্ষ থেকে খুব একটা সাধারণ নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “আজ ১ জুন, শত্রুপক্ষ ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ইউনিটের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ জনের বেশি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।”

তবে হামলার সুনির্দিষ্ট এলাকা প্রকাশ করেনি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, হামলার সময় ঘটনাস্থলে কোনো গণসমাবেশ বা বড় ধরনের জমায়েত চলছিল না এবং বেশিরভাগ সেনা সদস্যই তখন নিজেদের আশ্রয়ে ছিলেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনীয় সামরিক প্রশাসনের উপর নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তঘেঁষা এলাকায় সেনা প্রশিক্ষণের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় তদন্তের দাবিও উঠছে।

এর আগে গত মাসে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় রুশ হামলায় ছয় সেনা সদস্য নিহত হন। এ নিয়ে ইউক্রেনের এক বিরোধী রাজনীতিক সেনা নেতৃত্বের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে ঘটনাটিকে ‘অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে সেনাবাহিনী আরও জানায়, “যদি প্রমাণিত হয় যে এই মৃত্যুর জন্য কোনো কর্মকর্তা দায়ী, তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

অন্যদিকে, একই দিন রুশ সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ইউক্রেনের উত্তরের সুমি অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে। কিয়েভ আশঙ্কা করছে, রাশিয়া সুমি অঞ্চল দিয়ে নতুন করে স্থল অভিযান চালাতে পারে। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা তথ্য মতে, সীমান্তের বিপরীত পাশে রাশিয়া ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে।

অঞ্চলে ক্রমাগত গোলাবর্ষণের ফলে দুই শতাধিক গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য এই মুহূর্তে এটি একটি কঠিন সময়, যেখানে সামরিক ও মানবিক উভয় দিক থেকেই চরম চাপে রয়েছে দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ১২ সেনা নিহত, আহত ৬০’র বেশি

আপডেট সময় ০৭:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

ইউক্রেনের একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। রবিবার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এমন প্রাণঘাতী হামলা ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ ইউক্রেনের পক্ষ থেকে খুব একটা সাধারণ নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “আজ ১ জুন, শত্রুপক্ষ ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ইউনিটের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ জনের বেশি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।”

তবে হামলার সুনির্দিষ্ট এলাকা প্রকাশ করেনি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, হামলার সময় ঘটনাস্থলে কোনো গণসমাবেশ বা বড় ধরনের জমায়েত চলছিল না এবং বেশিরভাগ সেনা সদস্যই তখন নিজেদের আশ্রয়ে ছিলেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনীয় সামরিক প্রশাসনের উপর নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তঘেঁষা এলাকায় সেনা প্রশিক্ষণের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় তদন্তের দাবিও উঠছে।

এর আগে গত মাসে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় রুশ হামলায় ছয় সেনা সদস্য নিহত হন। এ নিয়ে ইউক্রেনের এক বিরোধী রাজনীতিক সেনা নেতৃত্বের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে ঘটনাটিকে ‘অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে সেনাবাহিনী আরও জানায়, “যদি প্রমাণিত হয় যে এই মৃত্যুর জন্য কোনো কর্মকর্তা দায়ী, তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

অন্যদিকে, একই দিন রুশ সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ইউক্রেনের উত্তরের সুমি অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে। কিয়েভ আশঙ্কা করছে, রাশিয়া সুমি অঞ্চল দিয়ে নতুন করে স্থল অভিযান চালাতে পারে। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা তথ্য মতে, সীমান্তের বিপরীত পাশে রাশিয়া ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে।

অঞ্চলে ক্রমাগত গোলাবর্ষণের ফলে দুই শতাধিক গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য এই মুহূর্তে এটি একটি কঠিন সময়, যেখানে সামরিক ও মানবিক উভয় দিক থেকেই চরম চাপে রয়েছে দেশটি।