১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

দেশে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, গম আমদানি ছুঁয়েছে নতুন শিখর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 69

দেশে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, গম আমদানি ছুঁয়েছে নতুন শিখর

 

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশে গম আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম তুলনামূলক কম থাকায় ব্যবসায়ীরা রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত কয়েক বছরে কিছুটা স্থবিরতা দেখা গেলেও গত বছর তা পেরিয়ে গম আমদানিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৭২.৭৫ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। আমদানির এই হার গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সরকারি খাতে আমদানি ৯২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। বেসরকারি খাতেও আমদানি প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩.৭৭ লাখ টনে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর আমদানি হওয়া গমের প্রায় অর্ধেকই এসেছে রাশিয়া থেকে, যা মোট আমদানির ৫০ শতাংশ। দেশে গমের মোট চাহিদার ১৪-১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, বাকি ৮৫ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। ২০২৪ সালে উৎপাদন ও আমদানির সম্মিলিত সরবরাহ ছিল ৮৪.৪৭ লাখ টন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

গমের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গমের তৈরি পণ্যের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। টি কে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, “মানুষ এখন আগের তুলনায় গমের খাদ্যপণ্য বেশি খাচ্ছে। এ ছাড়া, গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।”

 

ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেছেন, গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে দেশে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বেড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারি, কনফেকশনারি, হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং প্রাণীখাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে গম আমদানির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, গম আমদানি ছুঁয়েছে নতুন শিখর

আপডেট সময় ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশে গম আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম তুলনামূলক কম থাকায় ব্যবসায়ীরা রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত কয়েক বছরে কিছুটা স্থবিরতা দেখা গেলেও গত বছর তা পেরিয়ে গম আমদানিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৭২.৭৫ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। আমদানির এই হার গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সরকারি খাতে আমদানি ৯২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। বেসরকারি খাতেও আমদানি প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩.৭৭ লাখ টনে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর আমদানি হওয়া গমের প্রায় অর্ধেকই এসেছে রাশিয়া থেকে, যা মোট আমদানির ৫০ শতাংশ। দেশে গমের মোট চাহিদার ১৪-১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, বাকি ৮৫ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। ২০২৪ সালে উৎপাদন ও আমদানির সম্মিলিত সরবরাহ ছিল ৮৪.৪৭ লাখ টন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

গমের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গমের তৈরি পণ্যের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। টি কে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, “মানুষ এখন আগের তুলনায় গমের খাদ্যপণ্য বেশি খাচ্ছে। এ ছাড়া, গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।”

 

ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেছেন, গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে দেশে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বেড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারি, কনফেকশনারি, হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং প্রাণীখাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে গম আমদানির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।