০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কেএনএফের ইউনিফর্ম ইস্যুতে গুরুত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী: ব্রিগেডিয়ার নাজিম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 112

ছবি সংগৃহীত

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)–এর জন্য তৈরি করা ৩০ হাজার ইউনিফর্মের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এটি নিছক একটি পোশাকের বিষয় নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে গুরুতর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ।”

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইউনিফর্মের ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসার পরপরই সেনাবাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, “এই পোশাকগুলো কার জন্য তৈরি, কী উদ্দেশ্যে তৈরি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

বিজ্ঞাপন

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, “কেএনএফ মূলত বম জনগোষ্ঠীভিত্তিক একটি সংগঠন, যাদের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয় এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সংগঠনের সশস্ত্র তৎপরতায় আমাদের সেনা সদস্যরাও প্রাণ হারিয়েছেন। তাই আমরা এই ধরনের ইস্যু হালকাভাবে নিচ্ছি না। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেএনএফের কথিত করিডর নিয়ে সেনাবাহিনী ও সরকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে কোনো মতভেদ নেই, বরং সমন্বিতভাবে জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল সময় পার করছে। মিয়ানমার সরকারের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে, আরাকান আর্মি রাখাইনের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সীমান্তে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর গতিবিধি অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

তিনি বলেন, “সীমান্তে বিজিবি ও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ নজরদারিতে রয়েছে। আমাদের সীমান্ত কখনোই আপস করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।”

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়টি নিয়েও সেনাবাহিনী গভীর পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা। পাশাপাশি এই ঘটনায় কোনো দেশি বা বিদেশি শক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেএনএফের ইউনিফর্ম ইস্যুতে গুরুত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী: ব্রিগেডিয়ার নাজিম

আপডেট সময় ০৬:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)–এর জন্য তৈরি করা ৩০ হাজার ইউনিফর্মের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এটি নিছক একটি পোশাকের বিষয় নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে গুরুতর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ।”

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইউনিফর্মের ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসার পরপরই সেনাবাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, “এই পোশাকগুলো কার জন্য তৈরি, কী উদ্দেশ্যে তৈরি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

বিজ্ঞাপন

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, “কেএনএফ মূলত বম জনগোষ্ঠীভিত্তিক একটি সংগঠন, যাদের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয় এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সংগঠনের সশস্ত্র তৎপরতায় আমাদের সেনা সদস্যরাও প্রাণ হারিয়েছেন। তাই আমরা এই ধরনের ইস্যু হালকাভাবে নিচ্ছি না। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেএনএফের কথিত করিডর নিয়ে সেনাবাহিনী ও সরকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে কোনো মতভেদ নেই, বরং সমন্বিতভাবে জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল সময় পার করছে। মিয়ানমার সরকারের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে, আরাকান আর্মি রাখাইনের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সীমান্তে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর গতিবিধি অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

তিনি বলেন, “সীমান্তে বিজিবি ও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ নজরদারিতে রয়েছে। আমাদের সীমান্ত কখনোই আপস করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।”

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়টি নিয়েও সেনাবাহিনী গভীর পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা। পাশাপাশি এই ঘটনায় কোনো দেশি বা বিদেশি শক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।