জনগণের ন্যায্য দাবিতে সরকারের ‘মান-অভিমান’ চলবে না: তারেক রহমান

- আপডেট সময় ০৭:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 0
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে চলতে সরকারের কোনো রকম মান-অভিমান বা রাগ-বিরাগের সুযোগ নেই। তিনি মনে করেন, সরকার যদি জনগণের জবাবদিহির বাইরে চলে যায়, তবে তারা নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী রূপ ধারণ করতে পারে।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “সরকারের চরিত্র যা-ই হোক না কেন, জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা একনায়কত্বের দিকে চলে যায়। তাই হুমকি-ধমকিকে উপেক্ষা করে নাগরিকদের উচিত সরকারের গঠনমূলক সমালোচনায় সোচ্চার থাকা।”
তিনি বলেন, “প্রতিটি নাগরিককে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হতে হবে। সরকার কোনো করুণাদাতা নয় বরং জনগণের সেবক। তাই জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করার অবকাশ সরকারের নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ রুখে দিয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে প্রায়োগিক সংস্কার বেশি জরুরি।”
তারেক রহমান দাবি করেন, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এ সরকারের মাধ্যমেই জনগণ সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “যদিও বর্তমান সরকারের নৈতিক বা রাজনৈতিক বৈধতার সংকট নেই বলা হয়, তবু জনগণের কাছে সরকার জবাবদিহিমূলক নয়। তাই সরকারের পরিকল্পনাগুলো স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা জরুরি। অন্ধকারে রেখে কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনিশ্চয়তায় রেখে কোনো পরিকল্পনা কার্যকর ও টেকসই হতে পারে না।”
ভোটাধিকার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “যদিও সংবিধানে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে তা প্রয়োগের সুযোগ দেয়নি। জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠিত হলে দেশে ফ্যাসিবাদী প্রবণতা এতটা প্রবল হতো না।”