ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত
২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স নিয়ে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিতর্কিত অডিও নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগটি উঠেছে একটি অডিও বক্তব্য ঘিরে, যেখানে একজনকে বলতে শোনা যায় “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এই অডিওর ফরেনসিক বিশ্লেষণে কণ্ঠটি শেখ হাসিনার বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা।

এই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেল রোববার (২৫ মে) আদেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার জন্য দেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, এই বক্তব্য বিচার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ ও বিচার ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ তাজুল জানান, গত ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও ক্লিপে একজনকে বলতে শোনা যায় ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ তদন্ত সংস্থা অডিওটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে, এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ।”

এই বক্তব্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং বিচারক ও সংশ্লিষ্টদের হুমকির অভিযোগ এনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দাখিল করা হয়। প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, অডিওটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ ঘটনায় বিচার বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হাজিরার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি, আগামী শুনানির তারিখে শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে শেখ হাসিনা বা তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে ষড়যন্ত্র বলছেন, কেউ বা বলছেন, সত্য উদঘাটনের পথেই হাঁটছে আদালত। এখন দেখার বিষয় আসন্ন শুনানিতে কী মোড় নেয় এ বিতর্কিত ঘটনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স নিয়ে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

আপডেট সময় ০২:১৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিতর্কিত অডিও নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগটি উঠেছে একটি অডিও বক্তব্য ঘিরে, যেখানে একজনকে বলতে শোনা যায় “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এই অডিওর ফরেনসিক বিশ্লেষণে কণ্ঠটি শেখ হাসিনার বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা।

এই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেল রোববার (২৫ মে) আদেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার জন্য দেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, এই বক্তব্য বিচার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ ও বিচার ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ তাজুল জানান, গত ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও ক্লিপে একজনকে বলতে শোনা যায় ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ তদন্ত সংস্থা অডিওটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে, এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ।”

এই বক্তব্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং বিচারক ও সংশ্লিষ্টদের হুমকির অভিযোগ এনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দাখিল করা হয়। প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, অডিওটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ ঘটনায় বিচার বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হাজিরার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি, আগামী শুনানির তারিখে শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে শেখ হাসিনা বা তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে ষড়যন্ত্র বলছেন, কেউ বা বলছেন, সত্য উদঘাটনের পথেই হাঁটছে আদালত। এখন দেখার বিষয় আসন্ন শুনানিতে কী মোড় নেয় এ বিতর্কিত ঘটনা।