ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ এটাই সরকারের প্রতিশ্রুতি: প্রেস সচিব ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেন গভর্নরের “কেরানীগঞ্জে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ” “পতেঙ্গায় ভেসে এলো দুই জেলের মরদেহ, নিখোঁজ ৬” “নতুন ইতিহাস: শামির রেকর্ড ভেঙে দিলেন শাহিন আফ্রিদি” “মধ্যরাতে সেনবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১২ দোকান পুড়ে গেল” “আজ প্রকাশ হচ্ছে খসড়া ভোটার তালিকা: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা” রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত আগামীর বাংলাদেশে মসজিদ কমিটি হবে: ধর্ম উপদেষ্টা নেশার টাকা যোগাতে ৩ মাসের সন্তানকে বিক্রি, বাবা আটক

গা/জা/য় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। শনিবার (২৪ মে) দিনভর চালানো বোমা হামলায় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, যা ফিলিস্তিনের ওয়াফা বার্তা সংস্থার বরাতে নিশ্চিত করেছে।

এর আগের দিন, শুক্রবার (২৩ মে) গাজাজুড়ে অন্তত ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এসব হামলায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত টানেল, অবকাঠামো ও অন্যান্য স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে দুই দিনের হামলায় ৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গাজার খান ইউনিসে, যেখানে এক নারী চিকিৎসকের বাড়িতে ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় তার ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হন। গুরুতর আহত হন তার স্বামী ও অপর এক সন্তান। নিহত চিকিৎসকের নাম আলা আল-নাজার, যিনি নাসের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

ব্রিটিশ চিকিৎসক গ্রাহাম গ্রুম বিবিসিকে জানান, তিনি ওই নারী চিকিৎসকের ১১ বছর বয়সী একমাত্র জীবিত সন্তানের অস্ত্রোপচার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া শিশুদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মুনির আলবোরস জানিয়েছেন, আলা আল-নাজারের স্বামী তাকে হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক তখনই ভয়াবহ হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। জানা গেছে, এই পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় ছিলেন না।

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় চলমান আগ্রাসনের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি হত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৮ জনে, যাদের মধ্যে ১৯৮ জন শিশু। চলতি বছরেই পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ১৩২ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ২৫ জন শিশু।

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে পশ্চিম তীরের নুর শামস, তুলকারেম এবং জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১২:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। শনিবার (২৪ মে) দিনভর চালানো বোমা হামলায় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, যা ফিলিস্তিনের ওয়াফা বার্তা সংস্থার বরাতে নিশ্চিত করেছে।

এর আগের দিন, শুক্রবার (২৩ মে) গাজাজুড়ে অন্তত ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এসব হামলায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত টানেল, অবকাঠামো ও অন্যান্য স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে দুই দিনের হামলায় ৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গাজার খান ইউনিসে, যেখানে এক নারী চিকিৎসকের বাড়িতে ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় তার ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হন। গুরুতর আহত হন তার স্বামী ও অপর এক সন্তান। নিহত চিকিৎসকের নাম আলা আল-নাজার, যিনি নাসের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

ব্রিটিশ চিকিৎসক গ্রাহাম গ্রুম বিবিসিকে জানান, তিনি ওই নারী চিকিৎসকের ১১ বছর বয়সী একমাত্র জীবিত সন্তানের অস্ত্রোপচার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া শিশুদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মুনির আলবোরস জানিয়েছেন, আলা আল-নাজারের স্বামী তাকে হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক তখনই ভয়াবহ হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। জানা গেছে, এই পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় ছিলেন না।

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় চলমান আগ্রাসনের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি হত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৮ জনে, যাদের মধ্যে ১৯৮ জন শিশু। চলতি বছরেই পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ১৩২ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ২৫ জন শিশু।

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে পশ্চিম তীরের নুর শামস, তুলকারেম এবং জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি।