ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

আবারও রোমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা, সমঝোতায় অনিশ্চয়তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে বহুদিনের বিরোধ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিরা ফের আলোচনায় বসেছেন। গতকাল শুক্রবার ইতালির রোমে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা মধ্যস্থতা করছে ওমান। খবর সিএনএন ও এবিসি নিউজের।

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এটি ছিল পঞ্চম দফা আলোচনা।

তবে, আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বিরোধপূর্ণ শর্ত’ থাকায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তারা এমন একটি চুক্তি চান যেখানে ইরান শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে, কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। তার ভাষায়, “এটা সহজ হবে না।”

দুই পক্ষই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হলেও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তাদের ‘রেড লাইন’ স্পষ্টভাবে বিপরীতমুখী। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন না করুক, যা গোটা অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান চায় তাদের তেলনির্ভর অর্থনীতির ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক।

তেহরান জানিয়েছে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে প্রস্তুত, তবে ওয়াশিংটনকে পরিষ্কারভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যতে কোনো চুক্তি থেকে তারা একতরফাভাবে সরে আসবে না। এর পেছনে রয়েছে অতীতের অভিজ্ঞতা। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে তেহরান যে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছেছিল, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তা থেকে সরে দাঁড়ায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এরপর থেকেই তেহরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম জোরদার করে।

সব মিলিয়ে, রোমে অনুষ্ঠিত এই সর্বশেষ আলোচনাকেও ঘিরে রয়েছে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা। দুই দেশের অবস্থান যতক্ষণ না কাছাকাছি আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবারও রোমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা, সমঝোতায় অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে বহুদিনের বিরোধ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিরা ফের আলোচনায় বসেছেন। গতকাল শুক্রবার ইতালির রোমে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা মধ্যস্থতা করছে ওমান। খবর সিএনএন ও এবিসি নিউজের।

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এটি ছিল পঞ্চম দফা আলোচনা।

তবে, আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বিরোধপূর্ণ শর্ত’ থাকায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তারা এমন একটি চুক্তি চান যেখানে ইরান শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে, কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। তার ভাষায়, “এটা সহজ হবে না।”

দুই পক্ষই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হলেও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তাদের ‘রেড লাইন’ স্পষ্টভাবে বিপরীতমুখী। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন না করুক, যা গোটা অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান চায় তাদের তেলনির্ভর অর্থনীতির ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক।

তেহরান জানিয়েছে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে প্রস্তুত, তবে ওয়াশিংটনকে পরিষ্কারভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যতে কোনো চুক্তি থেকে তারা একতরফাভাবে সরে আসবে না। এর পেছনে রয়েছে অতীতের অভিজ্ঞতা। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে তেহরান যে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছেছিল, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তা থেকে সরে দাঁড়ায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। এরপর থেকেই তেহরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম জোরদার করে।

সব মিলিয়ে, রোমে অনুষ্ঠিত এই সর্বশেষ আলোচনাকেও ঘিরে রয়েছে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা। দুই দেশের অবস্থান যতক্ষণ না কাছাকাছি আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।