ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব, তেহরানের ‘অবিশ্বাস’ স্পষ্ট আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে, গণতন্ত্রও ব্যর্থ: মাহাথির মোহাম্মদ নয়াদিল্লিতে চারতলা ভবনে ভয়াবহ ধস, বহু মানুষ চাপা পড়ার আশঙ্কা জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীতে পানিবন্দী প্রায় দুই লাখ মানুষ, বাড়ছে দুর্ভোগ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ইঞ্জিন সংকট, ট্রেন চলাচলে বিশৃঙ্খলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা লেবাননের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ১,৩৫০ কর্মকর্তা ছাঁটাই করলো ট্রাম্প প্রশাসন অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”