১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 113

ছবি সংগৃহীত

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”