ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর চাপে পড়ে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সুবিধাভোগী অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরপর থেকেই সচিবালয়সহ নানা সরকারি দপ্তরে দেখা দেয় অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে সুশৃঙ্খলতা ফিরিয়ে আনতে ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠলে, অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যেই সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। অর্থাৎ, আগের মতো দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি নির্ধারণের পদ্ধতির পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে দায়িত্বে অবহেলা কিংবা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই সংশোধিত আইন কার্যকর হলে শুধু বিশৃঙ্খলা রোধ নয়, বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত নৈতিকতা বাড়বে। একইসঙ্গে প্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং সরকারি সেবাদানে গতি আসবে।

এ বিষয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “প্রশাসনের ভিতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বা অরাজকতা সৃষ্টি করলে, তাকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এই আইন সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক রাখবে এবং জনসেবার মান উন্নত করবে।”

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অতীতে দীর্ঘসূত্রতা ও অস্পষ্ট শাস্তির বিধান থাকায় অনেক অপরাধ অদৃশ্য থেকে যেত বা ধামাচাপা পড়ে যেত। এবার তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নতুন এই আইন বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনে নতুন করে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা

আপডেট সময় ০৪:২২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর চাপে পড়ে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সুবিধাভোগী অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরপর থেকেই সচিবালয়সহ নানা সরকারি দপ্তরে দেখা দেয় অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে সুশৃঙ্খলতা ফিরিয়ে আনতে ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠলে, অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যেই সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। অর্থাৎ, আগের মতো দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি নির্ধারণের পদ্ধতির পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে দায়িত্বে অবহেলা কিংবা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই সংশোধিত আইন কার্যকর হলে শুধু বিশৃঙ্খলা রোধ নয়, বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত নৈতিকতা বাড়বে। একইসঙ্গে প্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং সরকারি সেবাদানে গতি আসবে।

এ বিষয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “প্রশাসনের ভিতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বা অরাজকতা সৃষ্টি করলে, তাকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এই আইন সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক রাখবে এবং জনসেবার মান উন্নত করবে।”

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অতীতে দীর্ঘসূত্রতা ও অস্পষ্ট শাস্তির বিধান থাকায় অনেক অপরাধ অদৃশ্য থেকে যেত বা ধামাচাপা পড়ে যেত। এবার তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নতুন এই আইন বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনে নতুন করে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।