গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে, আশঙ্কায় জাতিসংঘ

- আপডেট সময় ০৪:১৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 7
গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাপ্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দ্রুত না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ১৪ হাজার শিশু প্রাণ হারাতে পারে। সোমবার (২০ মে) বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
সোমবারই ১১ সপ্তাহ পর ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিলেও মাত্র পাঁচটি ট্রাক সেখানে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এই ত্রাণ এখনো সরাসরি ফিলিস্তিনিদের হাতে পৌঁছায়নি। টম ফ্লেচার বলেন, “এই পাঁচটি ট্রাক সমুদ্রের এক ফোঁটা জলের মতো। তারা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে, কিন্তু ভেতরের মানুষের কাছে এখনো কিছুই পৌঁছেনি।”
তিনি জানান, এসব ট্রাকে শিশুখাদ্যসহ জরুরি সামগ্রী রয়েছে। তবে এগুলো দ্রুত বিতরণ না হলে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। তার কথায়, “আমি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যতটা সম্ভব শিশুকে বাঁচাতে চাই।”
ফ্লেচার জানান, মঙ্গলবার গাজায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পথে পথে বাধার মুখে পড়ছে এসব সহায়তা। “প্রতিটি চেকপয়েন্টে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবু আমরা শিশুদের খাবার পৌঁছাতে জীবন ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত,” বলেন ফ্লেচার।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের গাজা উপত্যকাকে মানবিক সহায়্যে ভরে তুলতে হবে। আমাদের মাঠে শক্তিশালী একটি দল কাজ করছে। অনেকে নিহত হলেও এখনো অনেকেই চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলে অবস্থান করে চাহিদা মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।”
এই সংকটের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা সম্প্রতি ইসরায়েলকে গাজায় ‘নতুন সামরিক আক্রমণ’ বন্ধ করতে এবং ত্রাণ সহায়তা প্রবাহ বাড়াতে সতর্ক করেছে। কিন্তু এসব আহ্বান উপেক্ষা করেই হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, “যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হতে পারে—যদি হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে।” বর্তমানে গাজায় ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি