ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় পুতিন থাকছেন না, ক্ষোভে জেলেনস্কি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আয়োজিত রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে কে অংশ নেবেন সে বিষয়ে বুধবারও স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি ক্রেমলিন। অবশেষে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) অনুষ্ঠেয় এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পুতিন অনুপস্থিত থাকছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি আলোচনায় বসতে রাজি, তবে শর্ত একটাই—সেই টেবিলে পুতিনকে থাকতে হবে। কিয়েভের ভাষ্য, রুশ প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি বোঝায় যে, তিনি শান্তিপ্রক্রিয়াকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

জেলেনস্কি বলেন, “আমি ইস্তাম্বুলে আলোচনায় রাজি আছি, তবে পুতিনের সঙ্গে সামনাসামনি। তার অনুপস্থিতি শুধু আমাকে নয়, গোটা বিশ্বকে বার্তা দিচ্ছে যে, রাশিয়া এখনো সংঘাতের পথেই আছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে আর কোনো সরাসরি বৈঠক হয়নি। এরপর দুই দেশ সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের মাঝখানে, ২০২২ সালের মার্চে একবারই ইস্তাম্বুলে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।

এবারের আলোচনায় নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকায়। আন্তর্জাতিক মহলে গুঞ্জন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের চাপে এবং মধ্যস্থতায় দুই দেশ আবার আলোচনায় ফিরেছে। এমনকি, এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ না নেন, তাহলে তা কূটনৈতিকভাবে অনেকটা প্রতীকী বৈঠকে পরিণত হবে। শান্তিপ্রক্রিয়ার বাস্তব অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রপ্রধানদের সরাসরি অংশগ্রহণ।

ইস্তাম্বুলের আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী ফল আসে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে পুতিনের অনুপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে রাশিয়ার সদিচ্ছা ও আলোচনার গুরুত্ব নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় পুতিন থাকছেন না, ক্ষোভে জেলেনস্কি

আপডেট সময় ১০:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আয়োজিত রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে কে অংশ নেবেন সে বিষয়ে বুধবারও স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি ক্রেমলিন। অবশেষে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) অনুষ্ঠেয় এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পুতিন অনুপস্থিত থাকছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি আলোচনায় বসতে রাজি, তবে শর্ত একটাই—সেই টেবিলে পুতিনকে থাকতে হবে। কিয়েভের ভাষ্য, রুশ প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি বোঝায় যে, তিনি শান্তিপ্রক্রিয়াকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

জেলেনস্কি বলেন, “আমি ইস্তাম্বুলে আলোচনায় রাজি আছি, তবে পুতিনের সঙ্গে সামনাসামনি। তার অনুপস্থিতি শুধু আমাকে নয়, গোটা বিশ্বকে বার্তা দিচ্ছে যে, রাশিয়া এখনো সংঘাতের পথেই আছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে আর কোনো সরাসরি বৈঠক হয়নি। এরপর দুই দেশ সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের মাঝখানে, ২০২২ সালের মার্চে একবারই ইস্তাম্বুলে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।

এবারের আলোচনায় নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকায়। আন্তর্জাতিক মহলে গুঞ্জন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের চাপে এবং মধ্যস্থতায় দুই দেশ আবার আলোচনায় ফিরেছে। এমনকি, এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ না নেন, তাহলে তা কূটনৈতিকভাবে অনেকটা প্রতীকী বৈঠকে পরিণত হবে। শান্তিপ্রক্রিয়ার বাস্তব অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রপ্রধানদের সরাসরি অংশগ্রহণ।

ইস্তাম্বুলের আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী ফল আসে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে পুতিনের অনুপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে রাশিয়ার সদিচ্ছা ও আলোচনার গুরুত্ব নিয়ে।