ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ পান করে ২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে মিথানল মেশানো বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে অমৃতসর জেলার অন্তত পাঁচটি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০ জন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই মদ ছিল অবৈধভাবে তৈরি ‘মুনশাইন’। ভারতে প্রতিনিয়ত এমন বিষাক্ত ও নিম্নমানের মদ তৈরির ঘটনা ঘটে, যা অনুমোদনহীনভাবে বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত মদের প্রভাব বাড়াতে এতে মেশানো হয় মিথানল, যা মানবদেহে অত্যন্ত বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এতে অন্ধত্ব, লিভারের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।

পাঞ্জাব পুলিশ এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত সাহেব সিং লুধিয়ানার একটি কোম্পানি থেকে মিথানল সংগ্রহ করেছিল। এই চক্রের মাধ্যমে বিষাক্ত মদ তৈরি ও সরবরাহ করা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে মাজিথা মহকুমার ডিএসপি অমোলক সিং এবং স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার অবতার সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ধরনের অপরাধ যারা করেছে, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে।

উল্লেখ্য, এটি ভারতে মুনশাইন বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর একাধিক ঘটনার মধ্যে সর্বশেষ। গত বছর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এমনই একটি ঘটনায় ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমদামি মদপান একটি সাধারণ প্রবণতা। এ সুযোগেই বেআইনি মদ উৎপাদকরা বাজারে ছড়িয়ে দেয় প্রাণঘাতী এসব পণ্য। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো না গেলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ পান করে ২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে মিথানল মেশানো বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে অমৃতসর জেলার অন্তত পাঁচটি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০ জন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই মদ ছিল অবৈধভাবে তৈরি ‘মুনশাইন’। ভারতে প্রতিনিয়ত এমন বিষাক্ত ও নিম্নমানের মদ তৈরির ঘটনা ঘটে, যা অনুমোদনহীনভাবে বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত মদের প্রভাব বাড়াতে এতে মেশানো হয় মিথানল, যা মানবদেহে অত্যন্ত বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এতে অন্ধত্ব, লিভারের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।

পাঞ্জাব পুলিশ এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত সাহেব সিং লুধিয়ানার একটি কোম্পানি থেকে মিথানল সংগ্রহ করেছিল। এই চক্রের মাধ্যমে বিষাক্ত মদ তৈরি ও সরবরাহ করা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে মাজিথা মহকুমার ডিএসপি অমোলক সিং এবং স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার অবতার সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ধরনের অপরাধ যারা করেছে, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে।

উল্লেখ্য, এটি ভারতে মুনশাইন বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর একাধিক ঘটনার মধ্যে সর্বশেষ। গত বছর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এমনই একটি ঘটনায় ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমদামি মদপান একটি সাধারণ প্রবণতা। এ সুযোগেই বেআইনি মদ উৎপাদকরা বাজারে ছড়িয়ে দেয় প্রাণঘাতী এসব পণ্য। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো না গেলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া