০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

দেশের স্বার্থে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: ড. ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 61

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজনীতির উত্তাল সময়ের মাঝে দেশের স্বার্থে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের অঙ্গীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “দেশে এক মহা-পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই তা উপলব্ধি করতে পারছেন। এমন কিছু ঘটেছে যা হাজার বছরেও আর দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। এই যুগান্তকারী নির্বাচনী আবহে যদি আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিই, তাহলে যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হবে, তা কল্পনারও বাইরে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “একসময় আমরা নিয়মের দোহাই দিয়ে অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম। যেমন এক লাখ টাকা দিয়ে একটি বালিশ কেনার মতো অযৌক্তিক কাজও করতাম নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। পুরনো কাঠামো ও ব্যর্থ ব্যবস্থাগুলো আর টিকে থাকার মতো নয়। এই পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি আবিষ্কার করেছি আমার অনেক ক্ষমতা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, আমি কি এই ক্ষমতা ব্যবহার করবো না? অবশ্যই করবো। আমার হাতে যতটুকু আছে, তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাবো। চাহিদা জানাবো, কিন্তু কাজ থেমে থাকবে না।”

স্বাস্থ্যসেবার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য আলাদা কাঠামোর প্রয়োজন হয় না। যদি পথে একটি মানুষ পড়ে গিয়ে নিশ্বাস নিতে না পারে, আমি যদি একজন ডাক্তার হয়ে তাকে সাহায্য না করি, তবে আমার পেশার কোনো মানেই থাকে না। আমি অফিসে যাই বা হাঁটতে বের হই যেখানে-যাই হোক না কেন, চিকিৎসা দেওয়াটা আমার নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “দেশে এখন যে পরিবর্তনের ঢেউ বইছে, তা আমাদের হাতে একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। যদি আমরা সংকল্প গ্রহণ করি এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তাহলে আমি বিশ্বাস করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় কমপক্ষে ২৫ শতাংশ উন্নতি অর্জন সম্ভব।”

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের স্বার্থে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

রাজনীতির উত্তাল সময়ের মাঝে দেশের স্বার্থে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের অঙ্গীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “দেশে এক মহা-পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই তা উপলব্ধি করতে পারছেন। এমন কিছু ঘটেছে যা হাজার বছরেও আর দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। এই যুগান্তকারী নির্বাচনী আবহে যদি আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিই, তাহলে যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হবে, তা কল্পনারও বাইরে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “একসময় আমরা নিয়মের দোহাই দিয়ে অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম। যেমন এক লাখ টাকা দিয়ে একটি বালিশ কেনার মতো অযৌক্তিক কাজও করতাম নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। পুরনো কাঠামো ও ব্যর্থ ব্যবস্থাগুলো আর টিকে থাকার মতো নয়। এই পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি আবিষ্কার করেছি আমার অনেক ক্ষমতা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, আমি কি এই ক্ষমতা ব্যবহার করবো না? অবশ্যই করবো। আমার হাতে যতটুকু আছে, তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাবো। চাহিদা জানাবো, কিন্তু কাজ থেমে থাকবে না।”

স্বাস্থ্যসেবার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য আলাদা কাঠামোর প্রয়োজন হয় না। যদি পথে একটি মানুষ পড়ে গিয়ে নিশ্বাস নিতে না পারে, আমি যদি একজন ডাক্তার হয়ে তাকে সাহায্য না করি, তবে আমার পেশার কোনো মানেই থাকে না। আমি অফিসে যাই বা হাঁটতে বের হই যেখানে-যাই হোক না কেন, চিকিৎসা দেওয়াটা আমার নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “দেশে এখন যে পরিবর্তনের ঢেউ বইছে, তা আমাদের হাতে একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। যদি আমরা সংকল্প গ্রহণ করি এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তাহলে আমি বিশ্বাস করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় কমপক্ষে ২৫ শতাংশ উন্নতি অর্জন সম্ভব।”