০৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে পাল্টা জবাবের নির্দেশ, সীমান্তে তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও উত্তেজনা কমেনি। সীমান্ত পরিস্থিতি সুনির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী কঠোর বার্তা দিয়েছে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।

শনিবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় ভারত ও পাকিস্তান। এর পরদিন, রোববার (১১ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেকোনো লঙ্ঘনের জবাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পশ্চিম সীমান্তের সব সেনা কমান্ডারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

বিজ্ঞাপন

এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, ‘১০-১১ মে রাতের সংঘর্ষ এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সীমান্তবর্তী সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং পাল্টা পদক্ষেপের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

ভারতের সেনা সূত্র বলছে, ডিজিএমও পর্যায়ের সমঝোতা বাস্তবায়নে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। বিশেষ করে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানভিত্তিক কোনো সন্ত্রাসী হামলাকে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তেমনই জবাব দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং ৮ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের একাধিক স্থানে অভিযান চালায়। পাকিস্তান সে অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে টানা চারদিন ধরে তীব্র পাল্টাপাল্টি হামলা চলে।

অবশেষে, ১০ মে শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক ঘোষণায় এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যদিও আপাতত সীমান্তে কোনো নতুন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বার্তা যেকোনো ধরণের উসকানিতে এবার আর ছাড় নয়।

সূত্র: এনডিটিভি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে পাল্টা জবাবের নির্দেশ, সীমান্তে তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও উত্তেজনা কমেনি। সীমান্ত পরিস্থিতি সুনির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী কঠোর বার্তা দিয়েছে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।

শনিবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় ভারত ও পাকিস্তান। এর পরদিন, রোববার (১১ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেকোনো লঙ্ঘনের জবাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পশ্চিম সীমান্তের সব সেনা কমান্ডারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

বিজ্ঞাপন

এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, ‘১০-১১ মে রাতের সংঘর্ষ এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সীমান্তবর্তী সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং পাল্টা পদক্ষেপের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

ভারতের সেনা সূত্র বলছে, ডিজিএমও পর্যায়ের সমঝোতা বাস্তবায়নে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। বিশেষ করে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানভিত্তিক কোনো সন্ত্রাসী হামলাকে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তেমনই জবাব দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং ৮ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের একাধিক স্থানে অভিযান চালায়। পাকিস্তান সে অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে টানা চারদিন ধরে তীব্র পাল্টাপাল্টি হামলা চলে।

অবশেষে, ১০ মে শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক ঘোষণায় এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যদিও আপাতত সীমান্তে কোনো নতুন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বার্তা যেকোনো ধরণের উসকানিতে এবার আর ছাড় নয়।

সূত্র: এনডিটিভি