ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে কি বলছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ? যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি কর্মকর্তা বহিষ্কার রূপচর্চায় বিপজ্জনক উপাদান গ্রিসের ক্রিট উপকূলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, মিসরেও অনুভূত গাজায় ইউরোপীয় হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৮ জন আজ নিজ জন্মভূমি চট্টগ্রাম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, মরদেহ ফেলার সময় আটক ২ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ: ডিএনসিসি প্রশাসক

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় বড় সফলতার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “চীনের সঙ্গে আজ (শনিবার) সুইজারল্যান্ডে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে।”

তিনি আরও জানান, “বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশের মঙ্গল চিন্তা করেই আলোচনা এগিয়ে চলেছে। আমরা চাই চীন মার্কিন ব্যবসার জন্য আরও দরজা খুলে দিক। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।”

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ তলানিতে পৌঁছে। বছরের শুরুতেই তিনি চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেন। এরপর এপ্রিলের শুরুতে আবারও চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন তিনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও শুল্ক আরোপ করলে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দেন। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৮৪ শতাংশে। পরবর্তী সময়ে তা বাড়তে বাড়তে ১৪৫ শতাংশে পৌঁছে যায়।

চীনের পক্ষ থেকেও একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বেইজিং জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। পাল্টাপাল্টি শুল্কের এই লড়াই বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে এবং বাণিজ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়।

তবে সম্প্রতি কিছুটা নমনীয় অবস্থানে ফিরেছে হোয়াইট হাউস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা প্রশমনের অংশ হিসেবে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই প্রেক্ষাপটে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন এবং চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে বলে জানা গেছে।

তথ্যসূত্র: এএফপি ও সিএনএন

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় বড় সফলতার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

আপডেট সময় ০৬:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “চীনের সঙ্গে আজ (শনিবার) সুইজারল্যান্ডে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে।”

তিনি আরও জানান, “বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশের মঙ্গল চিন্তা করেই আলোচনা এগিয়ে চলেছে। আমরা চাই চীন মার্কিন ব্যবসার জন্য আরও দরজা খুলে দিক। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।”

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ তলানিতে পৌঁছে। বছরের শুরুতেই তিনি চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেন। এরপর এপ্রিলের শুরুতে আবারও চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন তিনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও শুল্ক আরোপ করলে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দেন। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৮৪ শতাংশে। পরবর্তী সময়ে তা বাড়তে বাড়তে ১৪৫ শতাংশে পৌঁছে যায়।

চীনের পক্ষ থেকেও একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বেইজিং জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। পাল্টাপাল্টি শুল্কের এই লড়াই বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে এবং বাণিজ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়।

তবে সম্প্রতি কিছুটা নমনীয় অবস্থানে ফিরেছে হোয়াইট হাউস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা প্রশমনের অংশ হিসেবে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই প্রেক্ষাপটে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন এবং চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে বলে জানা গেছে।

তথ্যসূত্র: এএফপি ও সিএনএন