০৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

পাকিস্তানের জবাবি হামলায় ভারতের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 66

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি জানান, এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলাকে “উস্কানিমূলক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে পাকিস্তানের কামানের গোলাবর্ষণে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঞ্চ ও তাংধর এলাকার বেসামরিক এলাকায় অন্তত ১৫ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। ভারতের সেনাবাহিনীর বরাতে বুধবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের এই গোলাবর্ষণ ছিল পরিকল্পিত এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সীমান্তবর্তী জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। কয়েক বছর পর এমন সরাসরি পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, তবে এবার ব্যাপক হতাহতের কারণে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাচ্ছে। কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে এই সংঘর্ষ আরও বড় কোনো সংঘাতে গড়াতে পারে কি না, সে আশঙ্কায়।

এ ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের জবাবি হামলায় ভারতের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

আপডেট সময় ০৬:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি জানান, এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলাকে “উস্কানিমূলক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে পাকিস্তানের কামানের গোলাবর্ষণে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঞ্চ ও তাংধর এলাকার বেসামরিক এলাকায় অন্তত ১৫ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। ভারতের সেনাবাহিনীর বরাতে বুধবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের এই গোলাবর্ষণ ছিল পরিকল্পিত এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সীমান্তবর্তী জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। কয়েক বছর পর এমন সরাসরি পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, তবে এবার ব্যাপক হতাহতের কারণে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাচ্ছে। কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে এই সংঘর্ষ আরও বড় কোনো সংঘাতে গড়াতে পারে কি না, সে আশঙ্কায়।

এ ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।