পাঞ্জাবে জরুরি নিরাপত্তা প্রস্তুতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

- আপডেট সময় ১২:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / 5
ভারতের পক্ষ থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে প্রাদেশিক সরকার। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রদেশের হোম ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হোম সেক্রেটারি নূরুল আমিন মেঙ্গল। বৈঠকে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ওয়ার বুক’ নির্দেশনার আলোকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, পাঞ্জাবজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। চিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্টের অধীনে চালু করা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কন্ট্রোল রুম। সিভিল ডিফেন্স বিভাগও তাদের সকল সক্ষমতা ব্যবহার করছে মাঠপর্যায়ে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ ৭ মে পাঞ্জাবের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে নির্ধারিত সব পরীক্ষা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে সতর্ক করতে চালু করা হয়েছে আগাম সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো সচল রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ জানিয়েছেন, ভারতের ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও অন্যান্য অঞ্চলে কমপক্ষে ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন।
এই হামলার জবাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ভারতীয় বাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে এবং পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের হামলা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে।
সর্বশেষ পরিস্থিতির উপর দেশটির প্রশাসন নজর রাখছে এবং সংকট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।