ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

যুদ্ধ-আতঙ্কে ভারত: ২৪৪ জেলায় ব্ল্যাকআউটসহ মহড়া চালানোর নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

পুলওয়ামা হামলার ১২ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। এখন, পেহেলগামের ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পার হলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনো পাল্টা আঘাত হানেনি। তবে দেশজুড়ে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো আবহ তৈরি হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি হিসেবে সর্বভারতীয় মহড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামীকাল বুধবার থেকে এই মহড়া শুরু হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। যুদ্ধের সময় বেসামরিক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কী ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা এই মহড়ার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।

১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবার এমন একটি বড়সড় প্রস্তুতিমূলক মহড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকেই এ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকাও রয়েছে।

মহড়ার অন্যতম দিক হচ্ছে শত্রু দেশের বিমান হামলার সময় সতর্কতা-সাইরেন কাজ করছে কি না, রাতের আক্রমণ ঠেকাতে ব্ল্যাকআউট কার্যকর কি না, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাংকার প্রস্তুত রয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় পরীক্ষা করা। ফিরোজপুরসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ব্ল্যাকআউট চালানো হয়েছে।

ব্ল্যাকআউটের উদ্দেশ্য হলো, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু শত্রু বিমান থেকে আড়াল রাখা, যাতে চালক বিভ্রান্ত হয়। একইসঙ্গে সেতু, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই মহড়ায় বেসামরিক নাগরিকদের সচেতন ও প্রশিক্ষিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনসিসি ক্যাডেটসহ স্থানীয় প্রশাসনকে এতে যুক্ত করা হয়েছে। যেকোনো আক্রমণের পর দ্রুত আহতদের উদ্ধার করাও মহড়ার অংশ, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি ও বাংকার মেরামতের কাজ চলছে। সীমান্তের কৃষকদের দ্রুত ফসল কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য ও পানীয় মজুদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক মেরামতও চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্কবার্তায় বলেন, “ভুল করেও যুদ্ধ নয়। এই পথ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।” ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধ-আতঙ্কে ভারত: ২৪৪ জেলায় ব্ল্যাকআউটসহ মহড়া চালানোর নির্দেশ

আপডেট সময় ০১:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

পুলওয়ামা হামলার ১২ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। এখন, পেহেলগামের ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পার হলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনো পাল্টা আঘাত হানেনি। তবে দেশজুড়ে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো আবহ তৈরি হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি হিসেবে সর্বভারতীয় মহড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামীকাল বুধবার থেকে এই মহড়া শুরু হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। যুদ্ধের সময় বেসামরিক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কী ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা এই মহড়ার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।

১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবার এমন একটি বড়সড় প্রস্তুতিমূলক মহড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকেই এ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকাও রয়েছে।

মহড়ার অন্যতম দিক হচ্ছে শত্রু দেশের বিমান হামলার সময় সতর্কতা-সাইরেন কাজ করছে কি না, রাতের আক্রমণ ঠেকাতে ব্ল্যাকআউট কার্যকর কি না, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাংকার প্রস্তুত রয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় পরীক্ষা করা। ফিরোজপুরসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ব্ল্যাকআউট চালানো হয়েছে।

ব্ল্যাকআউটের উদ্দেশ্য হলো, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু শত্রু বিমান থেকে আড়াল রাখা, যাতে চালক বিভ্রান্ত হয়। একইসঙ্গে সেতু, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই মহড়ায় বেসামরিক নাগরিকদের সচেতন ও প্রশিক্ষিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনসিসি ক্যাডেটসহ স্থানীয় প্রশাসনকে এতে যুক্ত করা হয়েছে। যেকোনো আক্রমণের পর দ্রুত আহতদের উদ্ধার করাও মহড়ার অংশ, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি ও বাংকার মেরামতের কাজ চলছে। সীমান্তের কৃষকদের দ্রুত ফসল কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য ও পানীয় মজুদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক মেরামতও চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্কবার্তায় বলেন, “ভুল করেও যুদ্ধ নয়। এই পথ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।” ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।