ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনে চাঙ্গাভাব, আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান বড়াইগ্রামে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: র‍্যাবের অভিযানে ঘাতক চালক গ্রেপ্তার ইসলামি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর জুবায়দুর রহমান টেকনাফে ৩ লাখ টাকার মাছসহ অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ, জরিমানা ৬.৬৩ লাখ টাকা বঙ্গপসাগর থেকে ১৮ জন অসহায় জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগে চীন, উদ্বিগ্ন ভাটির দেশগুলো গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইসির নানা শর্ত গুলিস্তানে ককটেলসহ গ্রেপ্তার ২ নিজেরটাকে এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করায় রাজনীতি : মীর্জ ফখরুল প্রফেসর আবুল বারকাতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

পর্তুগালে ১৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

পর্তুগালের অন্তর্বর্তী সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১৮ হাজার বিদেশিকে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো শনিবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১৮,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে লক্ষ্য করে নোটিশ জারি করা হবে, যাতে তাদের দেশত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। প্রথম ধাপে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রায় ৪,৫০০ অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের জন্য ২০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে তাদের ‘স্বেচ্ছা প্রস্থান নোটিশ’ পাঠানো হবে, যা সরাসরি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে যাবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় দেশের বাইরে পাঠানো হবে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন ১৮ মে পর্তুগালে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চে পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সংখ্যালঘু সরকার পরাজিত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো। তিনি বর্তমানে রক্ষণশীল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপজুড়ে অভিবাসন ইস্যু এবং জাতীয়তাবাদী আবেগের উত্থান পর্তুগালের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। কট্টর ডানপন্থী দল ‘চেগা’ গত নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে চমক সৃষ্টি করায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের এই ঘোষণা পরবর্তী ভোটে সরকারপন্থী জনসমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ধরনের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত পর্তুগালের সামাজিক ও মানবিক চিত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পর্তুগালে ১৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের ঘোষণা

আপডেট সময় ০৩:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

পর্তুগালের অন্তর্বর্তী সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১৮ হাজার বিদেশিকে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো শনিবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১৮,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে লক্ষ্য করে নোটিশ জারি করা হবে, যাতে তাদের দেশত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। প্রথম ধাপে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রায় ৪,৫০০ অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের জন্য ২০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে তাদের ‘স্বেচ্ছা প্রস্থান নোটিশ’ পাঠানো হবে, যা সরাসরি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে যাবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় দেশের বাইরে পাঠানো হবে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন ১৮ মে পর্তুগালে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চে পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সংখ্যালঘু সরকার পরাজিত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো। তিনি বর্তমানে রক্ষণশীল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপজুড়ে অভিবাসন ইস্যু এবং জাতীয়তাবাদী আবেগের উত্থান পর্তুগালের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। কট্টর ডানপন্থী দল ‘চেগা’ গত নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে চমক সৃষ্টি করায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের এই ঘোষণা পরবর্তী ভোটে সরকারপন্থী জনসমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ধরনের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত পর্তুগালের সামাজিক ও মানবিক চিত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।