০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চলছে ভোটগ্রহণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 50

ছবি সংগৃহীত

 

অস্ট্রেলিয়ার ৪৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০টি আসন এবং সিনেটের ৭৬টি আসনের মধ্যে ৪০টিতে ভোট হচ্ছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মধ্যে হলেও স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলগুলোর উত্থান এবার নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৭৬টি আসন। যদিও সংখ্যাটা বড় মনে না হলেও, এবারের নির্বাচনে দুই প্রধান দলের জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সহজ হচ্ছে না। ভোটারদের সমর্থন দিন দিন ছোট দল ও স্বাধীন প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে লড়ছে। বর্তমানে তাদের হাতে আছে ৭৮টি আসন। এই সংখ্যা ধরে রাখতে পারলে আবারও সরকার গঠন সম্ভব। অন্যদিকে, বিরোধী লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের হাতে আছে মাত্র ৫৭টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের দরকার আরও ১৯টি আসন, তাই তাদের দৃষ্টি এখন বড় শহরগুলোতে।

নাগরিকদের মন জয় করতে উভয় দলই ঘোষণা করেছে নানা সুবিধার কথা। লেবার পার্টির অ্যান্থনি আলবানিজ কর কমানো, চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস ও প্রথমবার বাড়ি কিনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপরদিকে, পিটার ডাটনের নেতৃত্বে কোয়ালিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জ্বালানির ওপর কর হ্রাস ও গ্যাসের দাম কমানোর।

দেশীয় ইস্যুর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে মার্কিন নীতির প্রতিক্রিয়াও নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার ওপর পাল্টা ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায়, এই বিষয়ে ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে উভয় পক্ষই।

এবারের নির্বাচনে ছোট দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেশ বাড়ছে। ব্রিসবেনে গ্রিন পার্টির সঙ্গে লড়ছে লেবার পার্টি, আর মেলবোর্ন ও সিডনিতে ‘টিল’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোকাবিলা করছে কোয়ালিশন।

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবিসির প্রধান নির্বাচন বিশ্লেষক অ্যান্টনি গ্রিন জানান, ফলাফল যদি স্পষ্ট হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ান সময় রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিজয়ী দলের নাম জানা যেতে পারে।

এবারের নির্বাচনে মোট এক কোটি ৮১ লাখ ভোটার নথিভুক্ত। অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভোট না দিলে গুণতে হয় ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চলছে ভোটগ্রহণ

আপডেট সময় ০২:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

অস্ট্রেলিয়ার ৪৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০টি আসন এবং সিনেটের ৭৬টি আসনের মধ্যে ৪০টিতে ভোট হচ্ছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মধ্যে হলেও স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলগুলোর উত্থান এবার নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৭৬টি আসন। যদিও সংখ্যাটা বড় মনে না হলেও, এবারের নির্বাচনে দুই প্রধান দলের জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সহজ হচ্ছে না। ভোটারদের সমর্থন দিন দিন ছোট দল ও স্বাধীন প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে লড়ছে। বর্তমানে তাদের হাতে আছে ৭৮টি আসন। এই সংখ্যা ধরে রাখতে পারলে আবারও সরকার গঠন সম্ভব। অন্যদিকে, বিরোধী লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের হাতে আছে মাত্র ৫৭টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের দরকার আরও ১৯টি আসন, তাই তাদের দৃষ্টি এখন বড় শহরগুলোতে।

নাগরিকদের মন জয় করতে উভয় দলই ঘোষণা করেছে নানা সুবিধার কথা। লেবার পার্টির অ্যান্থনি আলবানিজ কর কমানো, চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস ও প্রথমবার বাড়ি কিনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপরদিকে, পিটার ডাটনের নেতৃত্বে কোয়ালিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জ্বালানির ওপর কর হ্রাস ও গ্যাসের দাম কমানোর।

দেশীয় ইস্যুর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে মার্কিন নীতির প্রতিক্রিয়াও নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার ওপর পাল্টা ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায়, এই বিষয়ে ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে উভয় পক্ষই।

এবারের নির্বাচনে ছোট দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেশ বাড়ছে। ব্রিসবেনে গ্রিন পার্টির সঙ্গে লড়ছে লেবার পার্টি, আর মেলবোর্ন ও সিডনিতে ‘টিল’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোকাবিলা করছে কোয়ালিশন।

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবিসির প্রধান নির্বাচন বিশ্লেষক অ্যান্টনি গ্রিন জানান, ফলাফল যদি স্পষ্ট হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ান সময় রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিজয়ী দলের নাম জানা যেতে পারে।

এবারের নির্বাচনে মোট এক কোটি ৮১ লাখ ভোটার নথিভুক্ত। অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভোট না দিলে গুণতে হয় ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা।