১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ডা. মাহবুব এর নেতৃত্বে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারিতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি, প্রশিক্ষণ নিলেন মালয়েশিয়ান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 135

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে যুক্ত হয়েছে এক নতুন দিগন্ত। দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি, যা দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই সার্জারির ফলে শরীরে কোনো দৃশ্যমান দাগ থাকে না, যা রোগীদের জন্য যেমন স্বস্তিদায়ক, তেমনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্যও এটি একটি বড় অর্জন।

২০২২ সালে ডা. মাহবুব আলমের নেতৃত্বে দেশে শুরু হয় এন্ডোস্কোপিক থাইরয়েড সার্জারি। এই পদ্ধতিতে গলার বাইরে কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই ঠোঁটের নিচের অংশে একটি ছোট ছিদ্র করে টিউমার অপসারণ করা হয়। ফলে অপারেশনের পরেও রোগীর শরীরে কোনো দাগ দেখা যায় না। এ কারণেই দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই ‘দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি’।

বিজ্ঞাপন

ডা. মাহবুব আলমের কাছে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশিক্ষণ নিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের এসেছেন মালয়েশিয়ার নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বিন্সেন ট্যান। তিনি সরেজমিনে এই চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তার ভাষায়, “আমি বাংলাদেশে এসে অত্যন্ত মুগ্ধ। ডা. মাহবুব আলমের দক্ষতা এবং বাংলাদেশে এতো বড় পরিসরে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি হওয়া সত্যিই অসাধারণ। অন্যান্য দেশে এ ধরনের চিকিৎসা সীমিত আকারে হলেও, এখানে তা ব্যাপকভাবে কার্যকরভাবে করা হচ্ছে।”

রোগীরাও এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে দারুণ সন্তুষ্ট। দাগবিহীন অপারেশনের কারণে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে খুব দ্রুত ফিরে যেতে পারছেন। ডা. মাহবুব আলম জানান, “বাংলাদেশে অনেক চিকিৎসক থাইরয়েড চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে যান। কিন্তু আমাদের জন্য এটি অনেক গর্বের বিষয় যে বিদেশের চিকিৎসক এখন বাংলাদেশে এসেছেন এই চিকিৎসা শেখার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “থাইরয়েড টিউমার অপারেশনের জন্য আমরা গলার ভিতর কাটাছেঁড়া করি না। ঠোঁটের নিচে ছোট ছিদ্র করে এন্ডোস্কোপি পদ্ধতিতে সার্জারি সম্পন্ন করি, যার ফলে রোগীর শরীরে কোনো দৃশ্যমান দাগ থাকে না। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি রোগীকে সফলভাবে চিকিৎসা দিয়েছি এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত, যার মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ জানেন না যে তারা এই রোগে ভুগছেন। এই দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি তাদের জন্য হতে পারে একটি নতুন আশার আলো।

স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বরং এখন অন্যান্য দেশের চিকিৎসকরাও বাংলাদেশে এসে শিখছেন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির নতুন দিগন্ত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ডা. মাহবুব এর নেতৃত্বে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারিতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি, প্রশিক্ষণ নিলেন মালয়েশিয়ান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

আপডেট সময় ১১:০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে যুক্ত হয়েছে এক নতুন দিগন্ত। দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি, যা দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই সার্জারির ফলে শরীরে কোনো দৃশ্যমান দাগ থাকে না, যা রোগীদের জন্য যেমন স্বস্তিদায়ক, তেমনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্যও এটি একটি বড় অর্জন।

২০২২ সালে ডা. মাহবুব আলমের নেতৃত্বে দেশে শুরু হয় এন্ডোস্কোপিক থাইরয়েড সার্জারি। এই পদ্ধতিতে গলার বাইরে কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই ঠোঁটের নিচের অংশে একটি ছোট ছিদ্র করে টিউমার অপসারণ করা হয়। ফলে অপারেশনের পরেও রোগীর শরীরে কোনো দাগ দেখা যায় না। এ কারণেই দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই ‘দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি’।

বিজ্ঞাপন

ডা. মাহবুব আলমের কাছে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশিক্ষণ নিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের এসেছেন মালয়েশিয়ার নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বিন্সেন ট্যান। তিনি সরেজমিনে এই চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তার ভাষায়, “আমি বাংলাদেশে এসে অত্যন্ত মুগ্ধ। ডা. মাহবুব আলমের দক্ষতা এবং বাংলাদেশে এতো বড় পরিসরে দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি হওয়া সত্যিই অসাধারণ। অন্যান্য দেশে এ ধরনের চিকিৎসা সীমিত আকারে হলেও, এখানে তা ব্যাপকভাবে কার্যকরভাবে করা হচ্ছে।”

রোগীরাও এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে দারুণ সন্তুষ্ট। দাগবিহীন অপারেশনের কারণে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে খুব দ্রুত ফিরে যেতে পারছেন। ডা. মাহবুব আলম জানান, “বাংলাদেশে অনেক চিকিৎসক থাইরয়েড চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে যান। কিন্তু আমাদের জন্য এটি অনেক গর্বের বিষয় যে বিদেশের চিকিৎসক এখন বাংলাদেশে এসেছেন এই চিকিৎসা শেখার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “থাইরয়েড টিউমার অপারেশনের জন্য আমরা গলার ভিতর কাটাছেঁড়া করি না। ঠোঁটের নিচে ছোট ছিদ্র করে এন্ডোস্কোপি পদ্ধতিতে সার্জারি সম্পন্ন করি, যার ফলে রোগীর শরীরে কোনো দৃশ্যমান দাগ থাকে না। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি রোগীকে সফলভাবে চিকিৎসা দিয়েছি এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত, যার মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ জানেন না যে তারা এই রোগে ভুগছেন। এই দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি তাদের জন্য হতে পারে একটি নতুন আশার আলো।

স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বরং এখন অন্যান্য দেশের চিকিৎসকরাও বাংলাদেশে এসে শিখছেন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির নতুন দিগন্ত।