ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা

সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা: বিমা ও পেনশন ব্যবস্থার সুপারিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সব সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর জন্য ঝুঁকি ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা এবং পেনশন সুবিধা চালুর সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। সম্প্রতি কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে, যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের সংজ্ঞা পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান শ্রম আইনে শুধু ‘সংবাদপত্র শ্রমিক’ হিসেবে পরিচিত এই পেশাজীবীদের নতুনভাবে ‘গণমাধ্যম শ্রমিক বা কর্মী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় অনলাইন, রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে নিয়োজিত সাংবাদিক ও কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। বিশেষভাবে ক্যামেরার পেছনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ‘চিত্র সাংবাদিক’ হিসেবে চিহ্নিত করারও সুপারিশ রয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য একটি পৃথক আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও তুলেছে কমিশন। ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর অনুরূপভাবে একটি স্বতন্ত্র আইন অথবা শ্রম আইনে একটি আলাদা অধ্যায় যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে যাতে সব ধরনের সংবাদমাধ্যম কর্মীদের কর্মপরিবেশ, অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, নিয়মিত ছুটি এবং নারী সাংবাদিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের মাসিক বেতন নিয়মিত প্রদানের বিষয়ে কড়া নজরদারির জন্য প্রতিটি গণমাধ্যম মালিককে বেতন প্রদানের লিখিত প্রমাণপত্র প্রতি মাসে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের মতে, কাঠামোগত সংস্কার ও সুশাসন নিশ্চিত করা হলে ট্রাস্ট প্রকৃতপক্ষে দেশের সব সাংবাদিকের জন্য কার্যকর সহায়ক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা: বিমা ও পেনশন ব্যবস্থার সুপারিশ

আপডেট সময় ১০:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

 

দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সব সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর জন্য ঝুঁকি ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা এবং পেনশন সুবিধা চালুর সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। সম্প্রতি কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে, যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের সংজ্ঞা পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান শ্রম আইনে শুধু ‘সংবাদপত্র শ্রমিক’ হিসেবে পরিচিত এই পেশাজীবীদের নতুনভাবে ‘গণমাধ্যম শ্রমিক বা কর্মী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় অনলাইন, রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে নিয়োজিত সাংবাদিক ও কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। বিশেষভাবে ক্যামেরার পেছনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ‘চিত্র সাংবাদিক’ হিসেবে চিহ্নিত করারও সুপারিশ রয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য একটি পৃথক আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও তুলেছে কমিশন। ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর অনুরূপভাবে একটি স্বতন্ত্র আইন অথবা শ্রম আইনে একটি আলাদা অধ্যায় যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে যাতে সব ধরনের সংবাদমাধ্যম কর্মীদের কর্মপরিবেশ, অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, নিয়মিত ছুটি এবং নারী সাংবাদিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের মাসিক বেতন নিয়মিত প্রদানের বিষয়ে কড়া নজরদারির জন্য প্রতিটি গণমাধ্যম মালিককে বেতন প্রদানের লিখিত প্রমাণপত্র প্রতি মাসে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের মতে, কাঠামোগত সংস্কার ও সুশাসন নিশ্চিত করা হলে ট্রাস্ট প্রকৃতপক্ষে দেশের সব সাংবাদিকের জন্য কার্যকর সহায়ক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবে।