ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরব সাগরে মার্কিন রণতরীতে হুতিদের ড্রোন হামলার দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

আরব সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন এবং এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোতে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক ঘোষণায় এই দাবি করেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা মা’আন নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইয়াহিয়া সারি জানান, আরব সাগরে অবস্থানরত ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও তার সঙ্গে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যান্য যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুতি বাহিনী। তিনি আরও দাবি করেন, এর আগে একটি অভিযানে ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানকে ওই এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল এবং সেই হামলায় একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়।

অন্যদিকে, চলমান সংঘাতের অংশ হিসেবে সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। হামলায় আফ্রিকান অভিবাসীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়, যাতে অন্তত ৬৮ জন নিহত এবং আরও ৪৭ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

ওইদিনই একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানে অবতরণের সময় সাগরে পড়ে যায়। পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে এলেও বিমানটি হারিয়ে যায়। মার্কিন নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটলো।

এদিকে, বুধবার হুতির পক্ষ থেকে আরেকটি ঘোষণায় জানানো হয়, ইসরাইলের জাফা শহরের কৌশলগত ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হুতি মুখপাত্র ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি বাহিনী গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাবেল মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইল ও তার মিত্র দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে আসছে।

প্রায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় হুতিরাও হামলা স্থগিত করেছিল। তবে ইসরাইল গত মাসে গাজায় আবারও আক্রমণ শুরু করলে হুতিরা নতুন করে হামলা শুরু করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে একাধিক হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আরব সাগরে মার্কিন রণতরীতে হুতিদের ড্রোন হামলার দাবি

আপডেট সময় ০৬:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

আরব সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন এবং এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোতে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক ঘোষণায় এই দাবি করেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা মা’আন নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইয়াহিয়া সারি জানান, আরব সাগরে অবস্থানরত ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও তার সঙ্গে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যান্য যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুতি বাহিনী। তিনি আরও দাবি করেন, এর আগে একটি অভিযানে ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানকে ওই এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল এবং সেই হামলায় একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়।

অন্যদিকে, চলমান সংঘাতের অংশ হিসেবে সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। হামলায় আফ্রিকান অভিবাসীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়, যাতে অন্তত ৬৮ জন নিহত এবং আরও ৪৭ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

ওইদিনই একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানে অবতরণের সময় সাগরে পড়ে যায়। পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে এলেও বিমানটি হারিয়ে যায়। মার্কিন নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটলো।

এদিকে, বুধবার হুতির পক্ষ থেকে আরেকটি ঘোষণায় জানানো হয়, ইসরাইলের জাফা শহরের কৌশলগত ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হুতি মুখপাত্র ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি বাহিনী গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাবেল মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইল ও তার মিত্র দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে আসছে।

প্রায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় হুতিরাও হামলা স্থগিত করেছিল। তবে ইসরাইল গত মাসে গাজায় আবারও আক্রমণ শুরু করলে হুতিরা নতুন করে হামলা শুরু করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে একাধিক হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।