ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, শান্তর সামনে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

 

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসে হেরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

এই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট অভিষেক হচ্ছে তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের। সকালেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম তার মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই টেস্ট ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটের হারে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে এ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই শান্তর দলের সামনে।

তবে সিরিজে পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফিরতে পারার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। অতীতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’বার সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করতে পেরেছে টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে হারারে টেস্টে ৩৩৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার চরম নজির দেখিয়েছিল দল। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে ১৪৩ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় তারা।

তবে সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটেও। গত চার বছরে ১০টি টেস্ট খেলেও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি দলটি। এমন দুর্বল ফর্মে থাকা দলের কাছেই চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ, তাও চতুর্থ দিনেই। শুধু হার নয়, পুরো ম্যাচে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক খারাপ খেলেছে দল। সমর্থকদের হতাশা ও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে শান্তদের।

বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়ে দল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ২০০ রান করার চিন্তা নেই। পরিবর্তন একদিনে হবে না, আমাদের যেখানে যেতে হবে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, শান্তর সামনে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

আপডেট সময় ১২:১৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসে হেরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

এই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট অভিষেক হচ্ছে তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের। সকালেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম তার মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই টেস্ট ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটের হারে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে এ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই শান্তর দলের সামনে।

তবে সিরিজে পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফিরতে পারার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। অতীতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’বার সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করতে পেরেছে টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে হারারে টেস্টে ৩৩৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার চরম নজির দেখিয়েছিল দল। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে ১৪৩ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় তারা।

তবে সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটেও। গত চার বছরে ১০টি টেস্ট খেলেও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি দলটি। এমন দুর্বল ফর্মে থাকা দলের কাছেই চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ, তাও চতুর্থ দিনেই। শুধু হার নয়, পুরো ম্যাচে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক খারাপ খেলেছে দল। সমর্থকদের হতাশা ও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে শান্তদের।

বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়ে দল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ২০০ রান করার চিন্তা নেই। পরিবর্তন একদিনে হবে না, আমাদের যেখানে যেতে হবে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবেই।’