ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

ভারত আক্রমণ করলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ হবে: পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ চালায়, তবে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে তা একটি ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ডেকে আনবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, “যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো হামলা বা আগ্রাসন ঘটে, তবে অবশ্যই সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেবে।”

ভারতের অভিযোগের প্রতি জবাব দিয়ে আসিফ বলেন, পাকিস্তানের জড়িত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “দিল্লির এমন প্রতিক্রিয়া আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, এই ঘটনা আমাদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত সংকট তৈরি করার জন্য সাজানো হয়েছে।”

এই মন্তব্যগুলো এসেছে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে, যেখানে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি অজানা গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)।

টিআরএফ-এর নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসিফ বলেন, “আমাদের সরকার এই হামলার নিন্দা করেছে। পাকিস্তান নিজেরাই দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। কিন্তু ভারতে এ ধরনের ঘটনা একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে ঘটে আসছে। এবারও যে গোষ্ঠীকে দায়ী করা হচ্ছে, তাদের নাম আমরা আগে কখনো শুনিনি।”

আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বড় শক্তিগুলোর জন্য এটা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় যাই ঘটুক না কেন, তার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা।”

‘লস্কর-ই-তৈয়বা’র সঙ্গে হামলার যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই সংগঠন এখন আর অস্তিত্বে নেই। এটি অতীতের নাম। যখন মূল সংগঠনই বিলুপ্ত, তখন তার কোনো শাখা সংগঠনের অস্তিত্ব কীভাবে সম্ভব?”

তিনি ভারতের অতীত কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “পুলওয়ামা এবং বালাকোটের ঘটনাগুলোকেও ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলা হয়েছিল, যেগুলোর উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বৈধতা তৈরি করা।”

আসিফ বলেন, “এর আগেও যেমন পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেছিল, সেটাও ছিল একটি সাজানো ঘটনা। এবার যে সংগঠনের কথা বলা হচ্ছে, তাদের নামও আমরা আগে কখনো শুনিনি।”

তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলেন, “যদি ভারত আমাদের ওপর হামলা চালায়, তবে আমরাও সমান জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।”

পাকিস্তানের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের মোকাবিলার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।”

তবে সবশেষে আসিফ সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত, যুদ্ধ নয়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত আক্রমণ করলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ হবে: পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১২:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ চালায়, তবে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে তা একটি ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ডেকে আনবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, “যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো হামলা বা আগ্রাসন ঘটে, তবে অবশ্যই সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেবে।”

ভারতের অভিযোগের প্রতি জবাব দিয়ে আসিফ বলেন, পাকিস্তানের জড়িত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “দিল্লির এমন প্রতিক্রিয়া আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, এই ঘটনা আমাদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত সংকট তৈরি করার জন্য সাজানো হয়েছে।”

এই মন্তব্যগুলো এসেছে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে, যেখানে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি অজানা গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)।

টিআরএফ-এর নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসিফ বলেন, “আমাদের সরকার এই হামলার নিন্দা করেছে। পাকিস্তান নিজেরাই দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। কিন্তু ভারতে এ ধরনের ঘটনা একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে ঘটে আসছে। এবারও যে গোষ্ঠীকে দায়ী করা হচ্ছে, তাদের নাম আমরা আগে কখনো শুনিনি।”

আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বড় শক্তিগুলোর জন্য এটা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় যাই ঘটুক না কেন, তার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা।”

‘লস্কর-ই-তৈয়বা’র সঙ্গে হামলার যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই সংগঠন এখন আর অস্তিত্বে নেই। এটি অতীতের নাম। যখন মূল সংগঠনই বিলুপ্ত, তখন তার কোনো শাখা সংগঠনের অস্তিত্ব কীভাবে সম্ভব?”

তিনি ভারতের অতীত কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “পুলওয়ামা এবং বালাকোটের ঘটনাগুলোকেও ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলা হয়েছিল, যেগুলোর উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বৈধতা তৈরি করা।”

আসিফ বলেন, “এর আগেও যেমন পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেছিল, সেটাও ছিল একটি সাজানো ঘটনা। এবার যে সংগঠনের কথা বলা হচ্ছে, তাদের নামও আমরা আগে কখনো শুনিনি।”

তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলেন, “যদি ভারত আমাদের ওপর হামলা চালায়, তবে আমরাও সমান জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।”

পাকিস্তানের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের মোকাবিলার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।”

তবে সবশেষে আসিফ সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত, যুদ্ধ নয়।”