ই-পার্লামেন্ট কার্যকর হলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে ফিরবে আস্থা: আইন উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৭:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 52
গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনগণমুখী সংসদ গঠনে ই-পার্লামেন্ট বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “ই-পার্লামেন্টের সম্ভাব্যতা যাচাই” শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালাটি জাতীয় সংসদ সচিবালয়, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধি সংসদ গঠনে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ এবং জবাবদিহিতা অপরিহার্য। ই-পার্লামেন্ট এই তিনটি মূলনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে। এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি জনগণের সঙ্গে সংসদের দূরত্ব ঘোচাতে এক যুগান্তকারী সুযোগ। তবে এর সফলতার জন্য দরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন এবং প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের সংসদে আনা।”
ই-পার্লামেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, “ডিজিটালাইজেশন শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তি নয়, বরং এটি একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে এমন একটি সংসদ গড়ে তোলা সম্ভব, যা জনগণের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত, স্বচ্ছ এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংসদকে শক্তিশালী করতে ইউএনডিপি সংসদ সচিবালয়ের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কোরিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, “নাগরিকদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হলে সংসদীয় কার্যক্রমকে আরও বেশি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ই-পার্লামেন্টের মতো উদ্যোগ সংসদ ও জনগণের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।”
অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম বেনজামিন রিয়াজী এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হকও বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ই-পার্লামেন্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংসদকে আরও আধুনিক ও জনগণকেন্দ্রিক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।