০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা
ইসলামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত

মহানবী (সাঃ)-এর বিদায় হজ:

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 105

ছবি সংগৃহীত

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয় ঘটনা হলো বিদায় হজ। এটি ইসলামের চূড়ান্ত পরিপূর্ণতার প্রতীক এবং মানবজাতির জন্য মহানবীর (সাঃ) অমর বার্তা। বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয় ১০ হিজরির জিলহজ মাসে, যখন মহানবী (সাঃ) তাঁর জীবনের শেষ হজ সম্পন্ন করেন। বিদায় হজের সময় প্রিয় নবী (সাঃ) ১ লাখ ২৪ হাজার সাহাবির সামনে একটি অসামান্য ভাষণ প্রদান করেন, যা ইসলামের সার্বজনীন নীতিমালার সারসংক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ভাষণটি আরাফাতের ময়দানে দেওয়া হয়েছিল এবং এটিই তাঁর জীবনের শেষ খুতবা। এ খুতবায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানবাধিকার, নারী অধিকার, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, এবং ইসলামের মূলনীতি নিয়ে কথা বলেন।

মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের জীবনের, সম্পদের ও সম্মানের ওপর অন্য কারো অধিকার নেই, যেমন পবিত্র এই দিন, এই মাস এবং এই স্থানের মতো পবিত্র। নারী ও পুরুষ একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল এবং কেউ কারো প্রতি অন্যায় করবে না। আল্লাহর কাছে সমগ্র মানবজাতি এক এবং কারো বংশগৌরব অন্যের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানের মানদণ্ড নয়।”

বিদায় হজের সময় মহানবী (সাঃ) কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নাজিল করেন: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করেছি এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ পূর্ণ করেছি।” (সুরা মায়িদা, ৫:৩)।

বিজ্ঞাপন

বিদায় হজের মাধ্যমে তিনি মানবজাতিকে এক নতুন দিশা দিয়েছেন এবং চিরতরে এ বার্তা দিয়ে গেছেন যে ইসলাম সাম্য, ন্যায়বিচার এবং কল্যাণের ধর্ম। এই স্মরণীয় ঘটনা প্রতিটি মুসলমানের জীবনে শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণার উৎস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত

মহানবী (সাঃ)-এর বিদায় হজ:

আপডেট সময় ০১:২৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয় ঘটনা হলো বিদায় হজ। এটি ইসলামের চূড়ান্ত পরিপূর্ণতার প্রতীক এবং মানবজাতির জন্য মহানবীর (সাঃ) অমর বার্তা। বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয় ১০ হিজরির জিলহজ মাসে, যখন মহানবী (সাঃ) তাঁর জীবনের শেষ হজ সম্পন্ন করেন। বিদায় হজের সময় প্রিয় নবী (সাঃ) ১ লাখ ২৪ হাজার সাহাবির সামনে একটি অসামান্য ভাষণ প্রদান করেন, যা ইসলামের সার্বজনীন নীতিমালার সারসংক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ভাষণটি আরাফাতের ময়দানে দেওয়া হয়েছিল এবং এটিই তাঁর জীবনের শেষ খুতবা। এ খুতবায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানবাধিকার, নারী অধিকার, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, এবং ইসলামের মূলনীতি নিয়ে কথা বলেন।

মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের জীবনের, সম্পদের ও সম্মানের ওপর অন্য কারো অধিকার নেই, যেমন পবিত্র এই দিন, এই মাস এবং এই স্থানের মতো পবিত্র। নারী ও পুরুষ একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল এবং কেউ কারো প্রতি অন্যায় করবে না। আল্লাহর কাছে সমগ্র মানবজাতি এক এবং কারো বংশগৌরব অন্যের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানের মানদণ্ড নয়।”

বিদায় হজের সময় মহানবী (সাঃ) কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নাজিল করেন: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করেছি এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ পূর্ণ করেছি।” (সুরা মায়িদা, ৫:৩)।

বিজ্ঞাপন

বিদায় হজের মাধ্যমে তিনি মানবজাতিকে এক নতুন দিশা দিয়েছেন এবং চিরতরে এ বার্তা দিয়ে গেছেন যে ইসলাম সাম্য, ন্যায়বিচার এবং কল্যাণের ধর্ম। এই স্মরণীয় ঘটনা প্রতিটি মুসলমানের জীবনে শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণার উৎস।