ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যমতের বার্তা, ধৈর্য ধরার আহ্বান আমীর খসরুর মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু চীনে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৯, আহত ২৬ পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাক চালক নিহত: আহত ২ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার আড়ালে সুন্দরবনে চলছে অবাধ লুটপাট জুলাই মাসের মধ্যে ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু দিনাজপুরে সমতল ভূমিতেও চা চাষে সাফল্য, কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা পর্যটনে বিদেশি পর্যটক হারাচ্ছে বাংলাদেশ, ই-ভিসা চালুর তাগিদ

পটুয়াখালীর লবণাক্ত জমিতে সোনালি সম্ভাবনার বোরো ধান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লবণাক্ত জমিগুলোতে এখন দোল খাচ্ছে সোনালি বোরো ধানের ক্ষেত। আগে যেখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় আমন ধানই ছিল একমাত্র ভরসা, সেই জমিগুলো বছরের বাকি সময় পড়ে থাকত অনাবাদি। কিন্তু এখন বদলে গেছে চিত্র। স্থানীয় কৃষকেরা লবণাক্ত জমিতে লবণ সহিষ্ণু উন্নত জাতের বোরো ধান চাষে সফলতা পেয়েছেন।

এই অঞ্চলের কৃষকদের মতে, আগে তারা শুধুমাত্র বর্ষার মৌসুমে আমন ধান চাষ করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে নদী ও জলাশয়ের নোনা পানির প্রভাবে জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছিল। অনেকেই হতাশ হয়ে চাষাবাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছিলেন। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় তারা এখন লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং ভালো ফলনও পাচ্ছেন।

চলতি মৌসুমে কলাপাড়ায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। কৃষকেরা জানান, যদি সঠিক সময়মতো সেচের পানি পাওয়া যেত, তাহলে উৎপাদন আরও দ্বিগুণ হতো।

কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, “আগে এই জমিতে শুধু আমন ধান হতো। এখন বোরো ধানও হচ্ছে। লাভও ভালো হচ্ছে। তবে পানির সমস্যা না থাকলে ফসল আরও ভালো হতো।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা জানান, “আমরা কৃষকদের উন্নত জাত ও চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য ‘বিনা-৮’, ‘বিআর-২৩’ এর মতো লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকেরা এ উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন।”

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের সবুজ ক্ষেত এখন প্রায় সোনালি রঙ ধারণ করেছে। কৃষকেরা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা আশাবাদী, ভালো দাম পেলে এ বছরের পরিশ্রম সফল হবে।

এভাবে কলাপাড়ার লবণাক্ত জমিগুলো এখন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। সময়মতো পানি সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে আগামী দিনে এই এলাকা আরও বেশি ধান উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পটুয়াখালীর লবণাক্ত জমিতে সোনালি সম্ভাবনার বোরো ধান

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লবণাক্ত জমিগুলোতে এখন দোল খাচ্ছে সোনালি বোরো ধানের ক্ষেত। আগে যেখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় আমন ধানই ছিল একমাত্র ভরসা, সেই জমিগুলো বছরের বাকি সময় পড়ে থাকত অনাবাদি। কিন্তু এখন বদলে গেছে চিত্র। স্থানীয় কৃষকেরা লবণাক্ত জমিতে লবণ সহিষ্ণু উন্নত জাতের বোরো ধান চাষে সফলতা পেয়েছেন।

এই অঞ্চলের কৃষকদের মতে, আগে তারা শুধুমাত্র বর্ষার মৌসুমে আমন ধান চাষ করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে নদী ও জলাশয়ের নোনা পানির প্রভাবে জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছিল। অনেকেই হতাশ হয়ে চাষাবাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছিলেন। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় তারা এখন লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং ভালো ফলনও পাচ্ছেন।

চলতি মৌসুমে কলাপাড়ায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। কৃষকেরা জানান, যদি সঠিক সময়মতো সেচের পানি পাওয়া যেত, তাহলে উৎপাদন আরও দ্বিগুণ হতো।

কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, “আগে এই জমিতে শুধু আমন ধান হতো। এখন বোরো ধানও হচ্ছে। লাভও ভালো হচ্ছে। তবে পানির সমস্যা না থাকলে ফসল আরও ভালো হতো।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা জানান, “আমরা কৃষকদের উন্নত জাত ও চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য ‘বিনা-৮’, ‘বিআর-২৩’ এর মতো লবণ সহিষ্ণু জাতের ধান সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকেরা এ উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন।”

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের সবুজ ক্ষেত এখন প্রায় সোনালি রঙ ধারণ করেছে। কৃষকেরা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা আশাবাদী, ভালো দাম পেলে এ বছরের পরিশ্রম সফল হবে।

এভাবে কলাপাড়ার লবণাক্ত জমিগুলো এখন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। সময়মতো পানি সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে আগামী দিনে এই এলাকা আরও বেশি ধান উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে।