অর্থ পাচারের অভিযোগে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কমিটি গঠন

- আপডেট সময় ০৬:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
- / 25
বিতর্ক যেন সবসময়ই ঘিরে রেখেছে সাকিব আল হাসানকে। মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন আলোচিত, তেমনি মাঠের বাইরে নানা বিতর্কেও বরাবরই ছিলেন শিরোনামে। নিয়ম ভঙ্গ, আচরণবিধি লঙ্ঘন কিংবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ সবকিছু মিলিয়ে তার ক্যারিয়ার ছিল আলো-আঁধারিতে মোড়ানো। তবে সম্প্রতি সরকারের পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠে আসছে, যা তাকে আরও বড় ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে ছিল শেয়ার বাজারে অনিয়ম, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা, সোনা পাচার, কাঁকড়ার ব্যবসায় দুর্নীতি এবং নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ গোপনের মতো নানা অভিযোগ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো বহির্বিশ্বে অর্থ পাচারের সন্দেহ।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিগত তিন বছরে চেতনা বাস্তবায়নের নামে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। প্রায় দুইশো কোটি টাকার এসব প্রকল্পে লুটপাট ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি। খোঁজ মিলেছে নামকাওয়াস্তে সভা-সেমিনার, অখ্যাত ব্যক্তিদের দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ, রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের মতো নানা কৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের চিত্র।
দুদক সূত্র বলছে, এসব প্রকল্পে গবেষণা টেন্ডার থেকে শুরু করে ব্যয় নিরীক্ষা পর্যন্ত নানা জায়গায় অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে চলছে বিশ্লেষণ, যা পরবর্তী পদক্ষেপের ভিত্তি হবে।
ইতোমধ্যে, নানা অসঙ্গতির কারণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সকল চলমান প্রকল্প স্থগিত করেছে বর্তমান সরকার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানায় সংশ্লিষ্টরা।
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ক্যারিয়ার ও ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এখন দেখার বিষয়, এই তদন্ত শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।