ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জরুরি সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

 

মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ, সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অস্থিরতা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এখনই একটি সমন্বিত ও কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

আজ রবিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাতের সময় ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই সফর রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের আশাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি মিশনে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ সময় তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত করতে আমি বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।’ একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের প্রতিটি পর্যায়ে নারীদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন চান।

জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীদের ভূমিকা বাড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দায়িত্বে নয়, বরং সকল স্তরে নারীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমে’ পাঁচটি ইউনিটকে র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে রেখেছে এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং মিশন উভয় পর্যায়ে নেতৃত্বমূলক অবস্থানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানান। মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

জানানো হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জরুরি সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৪৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ, সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অস্থিরতা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এখনই একটি সমন্বিত ও কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

আজ রবিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাতের সময় ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই সফর রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের আশাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি মিশনে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ সময় তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত করতে আমি বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।’ একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের প্রতিটি পর্যায়ে নারীদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন চান।

জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীদের ভূমিকা বাড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দায়িত্বে নয়, বরং সকল স্তরে নারীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমে’ পাঁচটি ইউনিটকে র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে রেখেছে এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং মিশন উভয় পর্যায়ে নেতৃত্বমূলক অবস্থানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানান। মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

জানানো হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।