গা/জা/য় মানবিক সাহায্য বন্ধের ঘোষণা, ই*স*রা*য়েলি হামলায় নিহত আরও ১১
- আপডেট সময় ০১:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 49
গাজায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশে কড়াকড়ি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় কোনো সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১১ জন।
চিকিৎসা-সেবায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা জানিয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন হামলায় গাজা এখন এক ‘বৃহৎ গণকবরে’ পরিণত হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে গাজা উপত্যকার ওপর আবারও বিমান ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত বলেন, “গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য আমরা প্রস্তুত নই। সেখানকার অধিবাসীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। তাই কোনোভাবেই এই সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।”
গেল ২ মার্চ থেকে গাজার সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সব রসদের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের হাতে আটক থাকা ৫৮ জন জিম্মির মুক্তির জন্য ‘সামরিক চাপই একমাত্র উপায়’। তিনি ঘোষণা দেন, “হামাসকে একের পর এক আঘাত করা হবে। আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতেই হবে।”
ইসরায়েল পুরো গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের পথগুলো আটকে রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক হামলায় আরও এক হাজার ৬৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ২৫ জনে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের অবস্থান অনড়। গাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন, আর আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সূত্র: এএফপি





















