২০২৬-এর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পথে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর

- আপডেট সময় ০২:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৮ বার পড়া হয়েছে
২০২৬ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর যৌথ পরামর্শক সভায় (এফওসি) এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে উভয়পক্ষ।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন, আর সিঙ্গাপুরের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি লুক গো। বৈঠকে এফটিএ চুক্তির বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সংযোগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, কৃষি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে ছিল জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন। শুল্ক সংক্রান্ত সহযোগিতা, দ্বৈত কর পরিহারের জন্য সংশোধিত প্রটোকল, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে আইনি সহায়তা এবং পর্যটনখাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরেও একমত হয় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন আলোচনায় বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পাটজাত পণ্য এবং পাদুকাশিল্পের নির্ভরযোগ্যতা তুলে ধরেন। তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের এসব খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশগুলোর একটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
বিশেষভাবে তিনি টেকসই জ্বালানি, কৃষি প্রযুক্তি, চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনে সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া, আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আসিয়ান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি)-এ যোগদানে আগ্রহ পুনরায় জানায়।