ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে জান্তার লাগাতার ড্রোন ও বিমান হামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপছে মিয়ানমার, আর সেই বিপর্যয়ের মাঝেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপেক্ষা করে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সামরিক জান্তা। ড্রোন ও বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলেও হামলা থামেনি।

মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের অধীন মানবাধিকার মন্ত্রণালয় জানায়, ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ড্রোন ও বিমান হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে আয়েয়ারওয়াদি, শান এবং রাখাইন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে।

গত মঙ্গলবার আয়েয়ারওয়াদির লেম্যেথনা টাউনশিপের টোন তাও গ্রামে ড্রোন হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকেই একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এলাকাটি বর্তমানে প্রতিরোধ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা রাখাইন রাজ্যের খুব কাছাকাছি।

২৮ মার্চের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প মান্দালে ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভূমিকম্পের পরদিন এনইউজি এবং অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও সামরিক সরকার চারদিন পরে ঘোষণায় আসে। কিন্তু সেই ঘোষণা বাস্তবে কোনো পরিবর্তন আনেনি হামলা অব্যাহত রেখেছে জান্তা।

২৯ মার্চ ওয়ার তাও কউন গ্রামে জান্তার প্যারামোটর হামলায় চারজন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তাঁরা বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ঘরেই প্রাণ হারান। ফুটবল মাঠে ফেলা বোমায় এক ডজন গবাদিপশুও মারা যায়।

আয়েয়ারওয়াদি ইয়ুথস ইউনিয়নের তথ্যমতে, ১৯ মার্চ থেকে লেম্যেথনা অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় দুই হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা যদি গ্রামে ফিরিও, পালানোর সুযোগ আর থাকবে না।”
রাখাইন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ লড়াই এখন আয়েয়ারওয়াদি অঞ্চলেও প্রবেশ করেছে। আরাকান আর্মির নেতৃত্বে প্রতিরোধ বাহিনী জান্তার ঘাঁটিগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এছাড়া দক্ষিণ শান রাজ্যের ন্যাউংশো টাউনশিপের ইয়েপু ও হ্পা ইয়ার তাউং গ্রামেও ড্রোন হামলার খবর মিলেছে। ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল এসব হামলায় অন্তত পাঁচটি বাড়ি ধ্বংস হয়। ওই এলাকায় ভূমিকম্পেই আগে থেকে প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে জান্তার লাগাতার ড্রোন ও বিমান হামলা

আপডেট সময় ০৪:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপছে মিয়ানমার, আর সেই বিপর্যয়ের মাঝেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপেক্ষা করে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সামরিক জান্তা। ড্রোন ও বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলেও হামলা থামেনি।

মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের অধীন মানবাধিকার মন্ত্রণালয় জানায়, ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ড্রোন ও বিমান হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে আয়েয়ারওয়াদি, শান এবং রাখাইন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে।

গত মঙ্গলবার আয়েয়ারওয়াদির লেম্যেথনা টাউনশিপের টোন তাও গ্রামে ড্রোন হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকেই একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এলাকাটি বর্তমানে প্রতিরোধ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা রাখাইন রাজ্যের খুব কাছাকাছি।

২৮ মার্চের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প মান্দালে ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভূমিকম্পের পরদিন এনইউজি এবং অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও সামরিক সরকার চারদিন পরে ঘোষণায় আসে। কিন্তু সেই ঘোষণা বাস্তবে কোনো পরিবর্তন আনেনি হামলা অব্যাহত রেখেছে জান্তা।

২৯ মার্চ ওয়ার তাও কউন গ্রামে জান্তার প্যারামোটর হামলায় চারজন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তাঁরা বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ঘরেই প্রাণ হারান। ফুটবল মাঠে ফেলা বোমায় এক ডজন গবাদিপশুও মারা যায়।

আয়েয়ারওয়াদি ইয়ুথস ইউনিয়নের তথ্যমতে, ১৯ মার্চ থেকে লেম্যেথনা অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় দুই হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা যদি গ্রামে ফিরিও, পালানোর সুযোগ আর থাকবে না।”
রাখাইন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ লড়াই এখন আয়েয়ারওয়াদি অঞ্চলেও প্রবেশ করেছে। আরাকান আর্মির নেতৃত্বে প্রতিরোধ বাহিনী জান্তার ঘাঁটিগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এছাড়া দক্ষিণ শান রাজ্যের ন্যাউংশো টাউনশিপের ইয়েপু ও হ্পা ইয়ার তাউং গ্রামেও ড্রোন হামলার খবর মিলেছে। ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল এসব হামলায় অন্তত পাঁচটি বাড়ি ধ্বংস হয়। ওই এলাকায় ভূমিকম্পেই আগে থেকে প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।