বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্য দূতের বৈঠক

- আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারনেস রোজি উইন্টারটনের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন এক রূপান্তরমূলক মুহূর্ত অতিক্রম করছে। এই সময়ে স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি বাংলাদেশের সীমিত সম্পদের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের নার্স সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। “কিন্তু এটি শুধু আমাদের জাতীয় নয়, একটি বৈশ্বিক সংকট। আমরা নার্সদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্ববাজারেও অবদান রাখতে চাই,” বলেন ইউনূস।
সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্মসূচির দুর্বলতা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তিনি ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বৈশ্বিক সমতা নিশ্চিতে পেটেন্ট সুরক্ষা শিথিল করার ওপর জোর দেন, যাতে প্রতিটি দেশ নিজস্বভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা উৎপাদন করতে পারে।
ব্যারনেস উইন্টারটন দুই দেশের ‘দীর্ঘ ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক’ স্মরণ করে বলেন, “বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া দেখে আমরা আশাবাদী। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, টেক্সটাইল ও বিমান চলাচল প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্য অংশীদার হতে চায়।”
বৈঠকে দুই পক্ষ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা লিঙ্গ সমতার বিষয়ে বলেন, “নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন আমাদের প্রতিটি কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে।”
এছাড়া, ব্যারনেস উইন্টারটন বাংলাদেশের সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রধান আলী রিয়াজের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন।
পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সংস্কারে ঐক্যমত্য হলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব। তবে বৃহৎ পরিসরের সংস্কার হলে জুন মাস নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।”
বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।