হালাল উপার্জনে হজ, হারাম অর্থে ইবাদত কবুল হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
হজ পালনের জন্য হালাল উপার্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেছেন, “হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়। হজের মতো পবিত্র আমল শুদ্ধ উপার্জনে সম্পন্ন করতে হবে।”
বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫ সালের হজযাত্রী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হাব সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ এবং হজ অফিসের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে হজ পালন করলে তা কবুল হয় না। কেউ যদি হারাম অর্থ নিয়ে হজ করতে যায়, ফেরেশতারা বলেন, ‘তোমার হাজিরা গ্রহণযোগ্য নয়।’ আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়ার আগে নিজের আয় হালাল কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।”
তিনি বলেন, “হজের প্রস্তুতিতে যেমন অর্থের প্রয়োজন, তেমনি থাকতে হবে মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগের মানসিকতা। মিনা, আরাফা ও মুজদালিফার পথে হেঁটে যেতে হতে পারে, পরিবহন সংকট হতে পারে তবু সব পরিস্থিতি সহজভাবে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই ত্যাগই আসল।”
হজ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “প্রশিক্ষণ মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। হজের প্রতিটি রুকন সম্পর্কে জানলে তা যথাযথভাবে পালন সহজ হয়। সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমেই হজ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।”
হজযাত্রীদের ভাগ্যবান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হজ সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর তৌফিক। অনেক ধনী ব্যক্তিও হজ করতে পারেন না, আবার সাধারণ কেউ তাওফিক পেয়ে যান। জন্মের আগেই কার হজ হবে, তা নির্ধারিত।”
হজের ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, “কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত। হজ শেষে আল্লাহ বান্দাকে সদ্যজাত শিশুর মতো পাপমুক্ত করে দেন।”
উল্লেখ্য, বুধবার ঢাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক দুই ব্যাচের সাত শতাধিক যাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ কার্যক্রম চলবে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।