ইসলামী ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ করে গঠিত হবে দুই ব্যাংক: গভর্নরের

- আপডেট সময় ০৪:০২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, অর্থপাচার রোধে এখন সময় decisive action নেওয়ার। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে আইনি ও নৈতিক উভয় দিক থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে তোলা হবেযাতে ভবিষ্যতে কেউ এই পথে পা না বাড়ায়। এজন্য সকল অংশীজনের সহযোগিতা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী।
গভর্নর জানান, ইসলামী ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে অনেকগুলো ছোট ও সমস্যাগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, যেগুলোকে একীভূত করে দুটি বড় ইসলামী ব্যাংক গঠন করা হবে। এ জন্য পৃথক আইন ও নজরদারি ব্যবস্থাও চালু করা হবে, যাতে বৈশ্বিক মান অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরবর্তীতে আরও দুটি ব্যাংকে এই পরিবর্তন হয়েছে। একটি ব্যাংক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পর্ষদ পরিবর্তন করেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধন এনে স্বতন্ত্র পরিচালকের যোগ্যতা নির্ধারণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেও দোষী। অনেক সময় প্রয়োজনীয় তদারকির ঘাটতি ছিল। তাই বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়ানোর কাজ চলছে।”
গভর্নর আরও জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্টিং পদ্ধতি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে এবং সব তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে।
তিনি বলেন, “সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো মূলধনের ঘাটতিতে ভুগছে। এসব ব্যাংকের সংস্কারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা লাগবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন ছাড়া এই সংস্কার সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখাই হবে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।”